পৃথিবীর আদি থেকেই স্বর্ণ মূল্যবান ধাতু হিসেবে পরিচিত। সেই স্বর্ণ পাচারের জন্য কত রকমেরই না পদ্ধতি আবিষ্কার করছে চো’রাচালানীরা। তবে এবার যে পদ্ধতিতে সোনা চো’রাচালান হচ্ছিল তা দেখে হতবাক হয়ে পড়েছেন কাস্টমস কর্তক’র্তারাও।
মুখের ভেতরে করে প্রায় এক কেজি স্বর্ণ পাচার করতে যাচ্ছিলেন দুই ব্যক্তি। দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এ ঘটনা ঘটে।জানা গেছে, গত শুক্রবার দিল্লি বিমানবন্দরে শুল্ক বিভাগের এয়ার ইন্টেলিজেন্স ইউনিট এমন দুই ব্যক্তিকে আ’ট’ক করে, যাদের মুখে ভেতর ছিল ৯৫১ গ্রাম স্বর্ণ। তাদের দাঁতের মাড়ির নিচেও সোনার চেন লুকানো ছিল।
শুল্ক কর্মক’র্তারা জানান, অ’ভিযু’ক্ত দুই উজবেকিস্তান নাগরিকের শরীর স্ক্যান করতেই শরীরে মেটালের সিগন্যাল পাওয়া যায়। পরে তাদের মুখ খোলাতেই থ হয়ে যান অফিসাররা। মুখ নয় যেনো ‘স্বর্ণ গহ্বর’। পরীক্ষা করে দেখা যায়, শুধু দাঁতই নয়, সোনায় মুড়ে ফেলা হয়েছিল মাড়িও। এমনকি, দাঁতের মাড়ির নীচেও সোনার চেন লুকোনো ছিল। তাদের কাছ থেকে মোট ৯৫১ গ্রাম স্বর্ণ উ’দ্ধার করা হয়। অ’ভিযু’ক্তদেরও গ্রে’প্তার করা হয়।
অন্যদিকে, দিল্লিতে সোনার পেস্ট পাচারের অ’ভিযোগে আরোা দুই ব্যক্তিকে গ্রে’প্তার করা হয়েছে। তাদের জামা’র কলার ও হাতার ভাঁজ থেকে ৫৬০ গ্রাম সোনার পেস্ট উ’দ্ধার করা হয়েছে। ত’দন্তকারীরা জানান, সোনা গলিয়ে পেস্ট তৈরি করে তা চো’রাচালানের ঘটনা গত কয়েক মাস ধরে বেড়ে গেছে। কারণ, মেটাল ডিটেক্টর বা এক্স-রে মাধ্যমে সোনার পেস্ট সনাক্ত করা কঠিন।
জানা গেছে, চো’রাচালানীরা সোনা গলিয়ে তাতে খাদ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে। যা সহ’জেই পাচার করা যায়। একবার সোনা পাচার করতে সক্ষম হলে, পেস্টটি পাউডারে রূপান্তরিত করে তাতে রাসায়নিক মিশিয়ে পুনরায় সোনা বের করে নেয় পাচারকারীরা। সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে