রাজধানীর পূর্ব রামপুরার জামতলা থেকে লামিয়া আক্তার (১৯) নামে এক গৃহবধূর গলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার স্বামী হৃদয় ফকির (২২) পলাতক রয়েছেন। আজ বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টার দিকে পুলিশ সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে। পরে ময়না তদন্তের জন্য বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে পাঠায়।
রামপুরা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইয়াকুব আলী বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করে বলেন, বুধবার দুপুরে খবর পেয়ে পূর্ব রামপুরা জামতলা এলাকার একটি চারতলা বাড়ির ফ্ল্যাটের ঘরের দরজা ভেঙে লামিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়। স্বামী হৃদয় ফকিরের সঙ্গে তিনি সাবলেট ভাড়া থাকতেন। মরদেহ উদ্ধারের পর আইনি প্রক্রিয়া শেষে ময়নাতদন্তের জন্য বিকালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, মরদেহটি অর্ধগলিত ছিল। ধারণা করা হচ্ছে বেশ কয়েকদিন আগেই ওই নারীর মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। নিহতের স্বজনদের বরাতে এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, ৪ থেকে ৫ দিন আগে থেকে এই দম্পতিকে মোবাইল ফোনে পাওয়া যাচ্ছিল না।
তাদের স্বজনরা খোঁজাখুঁজির পর না পেয়ে ওই বাসায় যান। সেখানে গিয়ে দরজা তালা লাগানো পান। আশপাশের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন ওই বাসায় তারা সাবলেট থাকতেন। বাসার সামনে গিয়ে দুর্গন্ধ পান তারা। পরে বিষয়টি থানায় জানায়।
নিহতের দুলাভাই নুরুজ্জামান মৃধা বলেন, আমার স্ত্রীর বড় বোন সোমবার ডাক্তার দেখানোর জন্য ঢাকায় আসে। পরে রাত হয়ে গেলে লামিয়াকে ফোন দিলে সে ফোন ধরে না। অনেকবার ফোন দেওয়া হয় কিন্তু ফোন ধরে না। আজ খবর পেলাম তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার স্বামী হৃদয়ও পলাতক রয়েছে।
কয়েক মাস আগে তারা বিয়ে করেছে।তিনি আরও জানান, আমার শ্বশুর বাড়ি মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর থানার খোরখোলা গ্রামে। শ্বশুরের নাম শেখ মোমেদ। লামিয়ার বড় বোন মাকসুদা আক্তার বাদী হয়ে রামপুরা থানার মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে।