সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকায় কামরুন্নাহার কেয়া (১৯) নামে এক তরুণীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার পর অ্যাকসিডেন্ট বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।
বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় নিহত কামরুন্নাহার কেয়ার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত কেয়া সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার দিয়ার ধানগড়া মহল্লার কালাম শেখের মেয়ে।
নিহতের বাবা কালাম শেখ অভিযোগ করে বলেন, বুধবার সকাল ১১টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান কেয়া। এরপর আর ফিরে আসেনি। বিকেলের দিকে আমরা খবর পাই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কে বা কারা হাসপাতালে ভর্তি করেছে জানা যায় নাই। হাসপাতালে কেয়ার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়ায় রেফার্ড করে। বগুড়ায় নেওয়ার জন্য অ্যাম্বুল্যান্সে তুলতেই মারা যায় সে।
কালাম শেখ আরো বলেন, গত বছরের এপ্রিল মাসে একই মহল্লার দুলাল শেখ দুলুর ছেলে তানভীর শেখ বাপ্পীর সঙ্গে বিয়ে হয় কেয়ার। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য চাপ দিতে থাকে বাপ্পী ও তার পরিবার। যৌতুক দিতে না পারায় কেয়ার ওপর নির্যাতন চালায় শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
এ অবস্থায় বিয়ের প্রায় দুমাস পর মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে আসেন তিনি। সেই থেকে মেয়ে বাড়িতেই রয়েছে। সম্প্রতি উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাসও করেছে সে। তানভীর শেখ বাপ্পীই কেয়াকে কৌশলে ডেকে নিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেন কালাম শেখ ও তার পরিবারের লোকজন।
সিরাজগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) রবিউল হাসান বলেন, খবর পেয়ে আমরা হাসপাতালে ওই তরুণীর মরদেহ সুরুতহাল রিপোর্ট করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। কেউ তাকে অ্যাকসিডেন্ট করিয়েছে কিনা তা ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে। সিসিটিভি ফুটেজ থেকে খুঁজে বের করা হবে তাকে কে বা কারা হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছে।