বিয়ের ৮ মাস পর ক্রিকেটার নাসির আর তামিমার বিয়েকে ‘অবৈধ’ উল্লেখ করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে পিবিআই। সেই প্রতিবেদন দেখে নাসির, তার স্ত্রী তামিমা এবং শাশুড়ি সুমি আক্তারের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছে আদালত। তাদেরকে আগামী ৩১ অক্টোবর আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নাসির-তামিমার দাম্পত্য নির্ধারিত হবে আদালতে। তবে এমন পরিস্থিতিতেও তামিমাকে ঘরে ফিরিয়ে নিতে চান তার আগের স্বামী রাকিব।
আজা বৃহস্পতিবার আদাতলতে উপস্থিত ছিলেন রাকিব হোসেন। গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপচারিতায় রাকিব বলেন, ‘সে এখনো আমার স্ত্রী, এটা আইনই বলে দিয়েছে। তাকে হাসিমুখেই ঘরে নেব, বরিশাল নিয়ে যাব। আমার মেয়েকে দেখাশোনা করবে।’
আগামী ৩১ অক্টোবর নাসির-তামিমা-সুমি আদালতে হাজির না হলে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হবে। এর আগে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসীমের আদালতে সৌদিয়া এয়ারলাইন্সের বিমানবালা তামিমা সুলতানা তাম্মী ও তামিমার মা সুমি আক্তারকে দোষী উল্লেখ করে প্রতিবেদন জমা দেয় পিবিআই। তালাক বৈধ না হওয়ায় সৌদিয়া এয়ারলাইন্সের কেবিন ক্রু তামিমা সুলতানা তাম্মী এখনও ব্যবসায়ী রাকিব হাসানের স্ত্রী। রাকিব এখন তাকিয়ে আছেন আদালতের পরবর্তী নির্দেশের দিকে।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তামিমা সুলতানার বিয়ে হয়। নাসিরের স্ত্রী পেশায় কেবিন ক্রু। কাজ করেন বিদেশি একটি এয়ারলাইনসে। এরপর রাকিব হাসান নামের একজন তামিমাকে নিজের স্ত্রী দাবি করেন। তাদের ১১ বছরের সংসারে একটা ৮ বছরের মেয়েও আছে।
তামিমা রাকিবকে তালাক না দিয়েই নাসিরকে বিয়ে করেন। এমন অভিযোগে ২৪ ফেব্রুয়ারি নাসির-তামিমার বিরুদ্ধে মামলা করেন রাকিব। দেশের ধর্মীয় বিধিবিধান ও আইন অনুযায়ী এক স্বামীকে তালাক না দিয়ে অন্য কাউকে বিয়ে করা অবৈধ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।