সিলেটে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে নিহত যুবক রায়হান আহমদ হত্যা মামলার প্রধান আসামি পুলিশের বরখাস্তকৃত এসআই আকবর নিহত রায়হানের স্ত্রীকে বিয়ে করার প্রস্তাব দিয়েছেন। এর আগে রায়হানের মায়ের পায়ে ধরে ক্ষমা চেয়েছিলেন রায়হানের ঘাতক আকবর।
নিহত রায়হানের মা একটি ফেসবুক পেইজে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে এ তথ্য জানান। শনিবার তাকে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়। এই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ ভাইরাল হয়ে যায়।
নিহত রায়হানের মা একটি ফেইসবুক পেইজের লাইভে জানান, প্রশাসনের এক ব্যক্তিকে দিয়ে আমার বউমাকে সে বিয়ে করার প্রস্তাব পাঠায়। পাশাপাশি আমার বউমা, নাতি, ও আমার ভরণপোষণের দায়িত্ব নিবে বলে জানায়। আমি তার প্রস্তাব ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছি।
তিনি বলেন, আদালতে আসার পর সে আমার কাছে পা ধরে মাফ চেয়ে সমঝোতার প্রস্তাব দেয়। এর আগে গত বছরের ১১ অক্টোবর রাত ৩টার দিকে রায়হানকে সিলেট কোতোয়ালি থানার বন্দরবাজার ফাঁড়িতে তুলে নিয়ে নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। নির্যাতনে রায়হান মারা যান। এ ঘটনায় তার স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি পরদিন হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে মামলা করেন। আকবর প্রতিবেশি দেশ ভারতে পালিয়ে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি তার। বর্তমানে সে জেলে আছে।
২০২০ সালের ১১ অক্টোবর ভোরে সিলেট নগরের আখালিয়ার এলাকার বাসিন্দা রায়হান আহমদকে (৩৩) কাষ্টঘর এলাকা থেকে ধরে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে নির্মম নির্যাতন করেন ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভুঁইয়াসহ পুলিশ সদস্যরা। পরে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। হত্যার পরদিন ১২ অক্টোবর তার স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নী বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।