টাঙ্গাইল গোপালপুর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নে নঠুরচর পশ্চিম পাড়া গ্রামে ‘অলৌকিকভাবে’ ছেলে হয়ে গেল লাবনী । বয়স ১৫ বছর। ২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন। হঠাৎ করে অলৌকিকভাবে মেয়ে থেকে ছেলেতে রূপান্তরিত হয়ে গেল সে।
এদিকে ৭ মাস আগে তার শারীরিক পরিবর্তন ঘটলেও গত শুক্রবার (৮ অক্টোবর) সকাল থেকে এ ঘটনা জানাজানি হয়। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। মেয়ে থেকে ছেলেতে রূপান্তরিত হওয়া লাবনী আক্তারকে একনজর দেখতে প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে অসংখ্য মানুষ ভিড় জমাচ্ছে তাদের বাড়িতে।
এ ব্যাপারে লাবনীর বাবা জানান, তার মেয়ে এবার উপজেলার ফকির মরিয়ম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষা দেবে। গত বৃহস্পতিবার তিনি স্ত্রীর কাছ থেকে জানতে পারেন, যে তার মেয়ে লাবনীর হঠাৎ শারীরিক পরিবর্তন হয়ে ছেলেতে রূপান্তরিত হয়েছে। পরে বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে মানুষের মুখে মুখে চারদিকে জানাজানি হয়ে যায়। এরপর থেকেই দিনরাত মানুষ ভিড় করছে তাকে দেখার জন্য। এখন তার শারীরিক গঠন পুরুষের মতো। এ ছাড়া চেহারাতেও কিছুটা পরিবর্তন এসেছে।
এদিকে লাবনীর বাবা বলেন, ছেলেতে রূপান্তরিত হওয়ার পর তার নাম রাখেন আব্দুলাহ জিসান। এ ব্যাপারে লাবনী আক্তার জানায়, সে গত ৭ মাস পূর্ব থেকেই এমন কিছু ঘটছে বলে আন্দাজ করতে পারে। কিন্তু লোক-লজ্জায় তখন কিছু বলতে পারেনি।
লাবনীর মা জানান, ছয় মাস আগে লাবনী আক্তারের বিয়ে ঠিক করা হয় একই উপজেলার মাকুলা গ্রামে। তখন লাবনী আক্তার বিয়ের অসম্মতি প্রকাশ করে তার রূপান্তরিত হওয়া ঘটনাটি বললে তিনি বিশ্বাস করেননি। পরে তিনি সবকিছু দেখে শুনে বিশ্বাস করেন। তিনি বলেন, আল্লাহ তাকে মেয়ে থেকে ছেলে বানিয়ে দিয়েছে। আগে তাদের ২ মেয়ে ছিল। এখন ১ ছেলে ও ১ মেয়ে হওয়ায় তারা খুশি।
এ বিষয়ে গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আলিম আল রাজি বলেন, আমাদের দেশে মাঝেমধ্যেই এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। এটা সাধারণত হরমোন পরিবর্তনের কারণে ঘটে থাকে।