দ্বিতীয় বিয়ের প্রস্তুতি; ফেসবুকে পাত্রী চাই পোষ্ট নোবেলের

‘সারেগামাপা’ খ্যাত গায়ক মাইনুল আহসান নোবেল মানসিকভাবে চরম অসুস্থ, মাদকাসক্ত, নারী নেশাসহ নানানভাবে নির্যাতনের অভিযোগে স্ত্রী সালসাবিল তালাকের নোটিস পাঠিয়েছেন। স্ত্রীর পাঠানো তালাকের নোটিশ হাতে পেয়েই দ্বিতীয় বিয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। ফেসবুকে পাত্রী খুঁজছেন এই গায়ক।

শনিবার (৯ অক্টোবর) গভীর রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া স্ট্যাটাসে নোবেল লিখেছেন, ‘পাত্রী চাই!’ রাত পেরুতেই তার সেই পোস্টে ৬৫ হাজার রিয়্যাক্ট ও ২৪ হাজার মন্তব্য এসেছে। অনুপম সেন লিখেছেন, ‘তুমি সন্ন্যাস জীবন গ্রহণ করো ব্রো, বিবাহিত জীবনে তোমার তো সুখ নাই, যাকে বিয়ে করবা তার কপালেও দুঃখ আছে।’

তাপস কুমার লিখেছেন, ‘ডিভোর্স হতে না হতেই পাত্রী চেয়ে বিজ্ঞাপন!’ রাশেদ শিকদার লিখেছেন, ‘এমপি-মন্ত্রীর মেয়েদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। সময় নষ্ট না করে সবাই এপ্লাই করে ফেলো। আসনসংখ্যা সীমিত।’ সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচয়ের সূত্রে ২০১৯ সালের ১৫ নভেম্বর সালসাবিল মাহমুদকে বিয়ে করেছিলেন নোবেল। তবে সেই সংসার টিকলো না।

আর তাই এবার বাবা-মায়ের পছন্দে বিয়ে করতে চান, বলে জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ফের সোশ্যাল মিডিয়াতেই পাত্রী খুঁজছেন এই সংগীতশিল্পী! নোবেল জানিয়েছিলেন, ‘এবার আমি বিয়ে করব বাবা-মায়ের পছন্দে। আমি ২৫ বছরের একটা ছেলে। আরেকটা বিয়ে করে ফেলব। আমার বহু জায়গা থেকে প্রস্তাব আছে।’

স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে তিনি বলেন, ‘আমাকে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছে সালসাবিল। আমার ক্যারিয়ার ধ্বংস করতে একটি পক্ষের হয়ে কাজ করেছে সে। সব সময় আমাকে মানসিক যন্ত্রণায় রেখেছে, যাতে আমি গান গাইতে না পারি। কনসার্ট করতে না পারি।’ অন্যদিকে স্ত্রীর করা অভিযোগ নাকচ করে নোবেল বলেন, ‘সে (সালসাবিল) মিথ্যাবাদী।

ওর বিষয়ে আমি আর মাথা ঘামাতে চাই না। সে টাকার বিনিময়ে আমাকে শেষ করে দেওয়ার পরিকল্পনা করে আমার জীবনে এসেছে। ও চলে যাচ্ছে, আমি আমার জীবন নতুন করে সাজাব। ওর চেয়ে সুন্দরী ও ভালো মেয়ে বিয়ে করব। এমপি মন্ত্রীর মেয়ে বিয়ে করতে প্রস্তুত আমাকে।’

About reviewbd

Check Also

বাংলাদেশের ইলিশ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে কলকাতাবাসী

প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে শুক্রবার থেকে কলকাতার বাজারে আসতে শুরু করেছে বহুল প্রতীক্ষিত বাংলাদেশের ইলিশ। তবে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *