তরুণ চিকিৎসকের লা”শে”র পাশে পড়ে ছিল চিঠি, যা লেখা ছিল

জয়দেব চন্দ্র দাস নামের এক তরুণ চিকিৎসকের লা”শ গত শনিবার রাত ৯টার দিকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। রাজধানীর খিলক্ষেতের নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ বলছে, দেবাশীষের মৃতদেহ বিছানায় পাওয়া গেছে। সেখানে সিরিঞ্জ পড়ে ছিল। তার কক্ষে কিছু আলামত পাওয়া গেছে, যাতে মনে হচ্ছে তিনি আত্মহ”ত্যা করে থাকতে পারেন।

তার কক্ষ থেকে একটা চিঠিও উদ্ধার করা হয়েছে। ২৫ বছর বয়সী জয়দেব চন্দ্র দাস সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন। তিনি এফসিপিএস পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি দিনাজপুরের পার্বতীপুরের দক্ষিণ সালান্দার কুমারীপাড়া গ্রামে।

বাবার নাম দিলীপ চন্দ্র দাস ও মা মিনা রানী দাস। তিন ভাই এক বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন বড়। জয়দেবের খালাতো ভাই দয়াল চন্দ্র বলেন, জয়দেবের বাবা কৃষক। মা গৃহিণী। জয়দেবকে নিয়ে তাদের অনেক স্বপ্ন ছিল।

জয়দেবের বাসায় পুলিশ সিরিঞ্জ ও ওষুধ পেয়েছে জানিয়ে বন্ধু চিকিৎসক প্রান্ত মজুমদার বলেন, ‘সাধারণত শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিলে এই ওষুধ ব্যবহার করা হয়। তবে জয়দেবের এ ধরনের কোনো সমস্যা ছিল না। তার মৃ”ত্যু”র ঘটনাটি আমার কাছে রহস্যজনক মনে হচ্ছে।’

প্রাথমিক তদন্তে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে খিলক্ষেত থানার ওসি মুন্সি সাব্বির আহমেদ বলেন, জয়দেবের কক্ষে কিছু আলামত পাওয়া গেছে। এর মধ্যে একটি সিরিঞ্জ পাওয়া যায়। সেটি তাঁর বাঁ হাতে লাগানো ছিল। এর বাইরে একটি লাল কলম, দুটি মোবাইল ফোনসেট ও পাঁচটি কেসিএল ইনজেকশনের খালি প্যাকেট ও একটি চিঠি উদ্ধার হয়েছে।

ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘আমার আত্মহত্যার জন্য কেউ দায়ী নয়। আমার আ”ত্মহ”ত্যা ছাড়া দ্বিতীয় কোনো পথ ছিল না। বেঁচে থেকে লাভ কী।’ ওসি বলেন, চিঠিটি তাঁই লেখা বলে মনে হচ্ছে। তিনি আ”ত্মহ”ত্যা করে থাকতে পারেন। তবে অন্য কোনো কারণ আছে কি না এর তদন্ত চলছে।

About reviewbd

Check Also

মাকে খুঁজছে মিরপুরে বেঁচে যাওয়া সেই ৭ মাসের শিশু হোসাইন

মিরপুরের পানিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ওপারে পাড়ি জমিয়েছেন বাবা-মা। ভাগ্যক্রমে ছেলে হোসাইন ফিরে আসলেও বেঁচে নেই …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *