প্রেমে ব্যর্থ হয়ে মনির হোসেন নিজেই তার প্রাক্তন প্রেমিকা সুমাইয়া আক্তারকে ঘাড়সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছু;রি;কা; ঘা;তে খু;ন করে। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর আত্ম হ;ত্যা;র জন্য মনির নিজের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধা;রা;লো ছু;রি দিয়ে আ;ঘা;ত করে।
বুধবার হ;ত্যা; কাণ্ডের পর টাঙ্গাইল র্যাব-১২ এর সদস্যরা তদন্ত শুরু করেন। পরে ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে হ;ত্যা; কাণ্ডের প্রমাণ পায় র্যাব।
মনির হোসেন কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা পৌর এলাকার মশাজান গ্রামের মেহের আলীর ছেলে। নিহত ছুমাইয়া একই উপজেলার পালিমা গ্রামের ফেরদৌসুর রহমানের মেয়ে। সে পরিবারসহ এলেঙ্গা পৌরসভার রিসোর্ট এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতো। সে এলেঙ্গা রানী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
র্যাব-১২ সিপিসি-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ঘটনার পর থেকেই র্যাব তদন্ত করে জানতে পারে মনির নামে এক বখাটের সঙ্গে সুমাইয়ার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এই তথ্যের সূত্র ধরে ছেলেটির পরিচয় বের করে এবং হত্যার সঙ্গে কোনো সংশ্লিষ্টতা আছে কি না অনুসন্ধান করতে থাকে। মনিরের ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের জিজ্ঞাসাবাদে ধীরে ধীরে উন্মোচিত হতে থাকে হ;ত্যা; কাণ্ডের রহস্য। মনিরের বন্ধুর মোবাইলের ছবি ও ভিডিও’র সূত্রধরে হ;ত্যা রহস্য উদঘাটন করা হয়।
তিনি আরো জানান, মনির হোসেনের সঙ্গে সুমাইয়ার প্রায় দুই বছর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। দুই মাস আগে তাদের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়। এ কারণে মনির সুমাইয়ার ওপর ক্ষি;প্ত হয়। মঙ্গলবার রাতেই সে সুমাইয়াকে হ;ত্যা;র সিদ্ধান্ত নেয়। ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত যে ছু;রি উদ্ধার করা হয়েছে সেটি মনির হোসেনের।
মনিরের টিকটকের প্রতি আগ্রহ ছিল। মাঝে মধ্যে সে টিকটকে উদ্ধার হওয়া ছু;রি;টি দেখাতো। এছাড়া বেশ কয়েকটি ভিডিও ফুটেজ দেখে এ হ;ত্যা; কাণ্ডের সঙ্গে মনির নিজেই জড়িত বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।