সম্প্রতি ভারতের উত্তরপ্রদেশের কানপুরের নিজে দাঁড়িয়ে থেকে স্ত্রীকে প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে দিলেন তার স্বামী। ওই ব্যক্তির নাম পঙ্কজ শর্মা। কানপুরের বাসিন্দা পংকজ গুরুগ্রামের একটি বেসরকারি সংস্থায় হিসাবরক্ষকের কাজ করেন। পাঁচ মাস আগে কোমলের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়েতে যে স্ত্রীর সম্মতি ছিল না, তা কয়েক দিনের মধ্যেই বুঝতে পারেন পংকজ। এরপরই তাকে বিয়ের পিঁড়িতে বসিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে দিয়েছেন তার স্বামী। এ খবর প্রকাশ করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস ও আনন্দবাজার।
চাকরপুর মুরলিপুরের কোমল শর্মার সঙ্গে চলতি বছর ২ মে দেখেশুনে বিয়ে হয় পঙ্কজ শর্মার। বিয়ের আগে স্ত্রী’র সম্পর্কের কথা কিছুই জানতেন না তিনি। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন পরেই কোমল তাঁর ও কলেজের সহপাঠী পিন্টু সিংয়ের সম্পর্কের কথা স্বীকার করেন। পঙ্কজ জানান, প্রথমে তিনি খুবই ভেঙে পড়েন। বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। কোমলকে তাঁর মামারবাড়িতে পাঠিয়ে দেন তিনি। কিন্তু পরে ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করে, কোমলের ও পিন্টুর চার হাত এক করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। দু’জনের মাঝে বাধা হয়ে দাঁড়াতে চাননি তিনি।
তিনি জানতে পারেন, নবম শ্রেণি থেকেই তাঁর স্ত্রীর সম্পর্ক। পরে সরকারি পলিটেকনিক কলেজ থেকে ইলেকট্রিকাল ডিপ্লোমা করেছিলেন তাঁরা। দু’জনেই চাকরি পেয়ে বিয়ের পরিকল্পনা করেন। কিন্তু পরিবারের চাপে জোর করে কোমলের বিয়ে দেওয়া হয়েছিল। মামারবাড়ি থেকে ২১ অক্টোবর শ্বশুরবাড়িতে যান কোমল। তারপরেই হঠাৎ ২২ অক্টোবর কল্যাণপুরে বন্ধুর বাড়ি যাওয়ার নাম করে নিখোঁজ হয়ে যায় সে। পঙ্কজ কোমলের ভাইদের সঙ্গে গিয়ে বাররা থানায় মিসিং ডায়েরি করেন।
তদন্তের সময় পুলিশ পিন্টুকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। এরপর কোমল ডিসিপি রাভিনা ত্যাগীর কাছে গিয়ে একটি আবেদন জানিয়ে বলেন, ‘আমি বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে থাকতে চাই। নিজের বাড়ি ও শ্বশুরবাড়ি উভয়পক্ষ থেকেই জীবন ও সম্পত্তিগত হুমকি দেওয়া হচ্ছে।’ এরপর তদন্ত শুরু করেন সাব-ইনস্পেক্টর নিধি গুপ্তা। তিনপক্ষকেই ডাকেন তিনি। সকলের সামনে পিন্টু ও কোমল নিজেদের ইচ্ছা জানান। শেষমেশ কোমলের স্বামী ও ভাইয়েরা তাঁদের সম্মতি জানান। পঙ্কজের উপস্থিতিতেই কোমলকে বিয়ে করেন পিন্টু।