বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভালোর জন্য ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) থেকে নাজমুল হাসান পাপনের পদত্যাগ করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের কিংবদন্তি পেসার শোয়েব আখতার। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ধারাবাহিক বাজে পারফরম্যান্সের পর এক ভিডিওতে এমনই মন্তব্য করেছেন তিনি।
এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে টানা তিন ম্যাচ হেরে সেমিফাইনালে উঠার দৌড় থেকে অনেকটা ছিটকে পড়েছে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ‘জেতা ম্যাচ’ও হেরে যায় টাইগাররা। পরের ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ও সবশেষ ম্যাচে উইন্ডিজের বিপক্ষে হেরে যায় রিয়াদ বাহিনী।
ক্রিকেটপ্রেমীরা বলছেন, হেরে যাওয়া কোনো সমস্যা নয়। টাইগার ক্রিকেটারদের মধ্যে জয়ের মানসিকতাই নেই, হতাশাটা ঠিক সেই জায়গায়ই। টাইগারদের এমন পারফরম্যান্সে সমালোচনা এড়াতে পারেন না বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও।
পাপনকে নিয়ে এরইমধ্যে বিতর্ক তৈরিও হয়েছে। ক্রিকেটাঙ্গনের পরিস্থিতি যখন এমন উত্তাল তখন শোয়েব আখতার যেন আরেক তীরবাণ ছুঁড়লেন পাপনের দিকে। ৪৬ বছর বয়সী সাবেক এই পেসার বলেন, নাজমুল হাসান পাপনের উচিত বিসিবি সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি নেওয়া। এটা বলতে মুখে বাঁধছে। তবে বাস্তবতাটা এমনই। পাপন এই কাজের যোগ্য না। অথচ তিনি কিনা বোর্ডের সভাপতির পদে আসীন।
বড় আশা নিয়ে বিশ্বকাপ খেলতে গিয়েছিল বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডকে উড়িয়ে দেওয়ার পর বড় বড় কথা বলে, ক্রিকেট-মাদকতায় বুঁদ থাকা ১৭ কোটির হৃদয়ে সেমিফাইনালের আশার রঙ ছড়িয়ে মরুর বুকে নোঙর করেছিলেন মাহমুদউল্লাহরা।
কিন্তু নিদারুণ বাস্তবতার সাক্ষী হতে হয় প্রথম রাউন্ডের প্রথম ম্যাচেই। তুলনামূলক দুর্বল প্রতিপক্ষ স্কটল্যান্ডের বিপক্ষেও হেরে প্রত্যাশার বেলুনটা যেন এক লহমায় চুপসে যায় লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের। সেই সঙ্গে ধাক্কা খায় টাইগারদের বিশ্বকাপ স্বপ্নও।
এদিকে, বিশ্বকাপে চূড়ান্ত ব্যর্থতার অন্যপিঠে চলছে তুমুল কথার লড়াই। যেন যু’দ্ধ। যেন সবাই সবার প্রতিপক্ষ৷ বিসিবি প্রেসিডেন্ট ঢিল ছুড়ছেন। অধিনায়ক থেকে সিনিয়র ক্রিকেটাররা ছুড়ছেন পাল্টা পাটকেল। স্বজনরাও কাদা ছোড়াছুড়িতে শামিল হয়েছেন। আছে সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীদের নিরন্তর কাটাছেঁড়াও৷ যার শুরুটা হয়েছিল স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে হারের পর।
লজ্জার হারের পর বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হোসেন পাপন কাঠগড়ায় দাঁড় করান পুরো দলকে। বিশেষ করে তিন সিনিয়র ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসানকে। যদিও জবাব দিতে তারাও বেশি সময় নেননি। তবে মাঠের পারফরম্যান্সে নয়, কথার তুবড়িতেই যাবতীয় যন্ত্রণা, হতাশা, কষ্ট ও ক্রোধের কথা জানান তারা।