পরিবারের পছন্দে বিয়ে করলেও কুনজর পড়ে শ্যালিকার ওপর। স্ত্রীর ছোট বোনের রূপ দেখে নিজেকে ঠিক রাখতে পারছিলেন না। দিতেন কুপ্রস্তাব। এর মধ্যেই চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন স্ত্রী। আর এ সুযোগে শ্যালিকাকে অপহরণ করেন দুলাভাই। করেন মেলামেশাও। এখন দুই বোনই অন্তঃসত্ত্বা।
ঘটনাটি ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার। অভিযুক্ত যুবকের নাম আলম মিয়া। ৩০ বছর বয়সী আলম উপজেলার ফুলপুর ইউনিয়নের সদর ইউনিয়নের নগুয়া গ্রামের আহমাদ আলীর ছেলে। তিনি পেশায় একজন নির্মাণ শ্রমিক।
শুক্রবার বিকেলে আলমকে ময়মনসিংহ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হয়। পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। এর আগে, বৃহস্পতিবার রাতে নিজ বাড়ি থেকে আলমকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ফুলপুর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, বড় বোনকে বিয়ের পর থেকেই আলমের কুদৃষ্টি পড়ে শ্যালিকার ওপর। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময় কুপ্রস্তাব দিতেন আলম। চার মাস আগে শ্যালিকা প্রাইভেট পড়তে কলেজের উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হন। ওই সময় তাকে অপহরণ করেন দুলাভাই। বিষয়টি জানতে পেরে আলমের মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন মেয়ের পরিবার।
এরপর শ্যালিকাকে ফেরত দেবেন বলে জানান আলম। কিন্তু চার মাস পার হলেও ফেরত দেননি। শ্যালিকাকে আলম বিয়ে করেছেন বলেও লোকমুখে শোনা যাচ্ছিল। এছাড়া দুই বোনই এখন অন্তঃসত্ত্বা। এ ঘটনায় ফুলপুর থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগীর স্বজনরা। পরে আলমকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন আরো বলেন, ভুক্তভোগীকে আদালতে হাজির করলে বাবার হেফাজতে দেন বিচারক। এখন দুই বোনই বাবার হেফাজতে রয়েছেন।