বিশ্বকাপে ধরাশায়ীর পর ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টির প্রথম দুই ম্যাচ হারের পর একটুও সমর্থন কমেনি বাংলাদেশি ক্রিকেট ভক্তদের। পাকিস্তানের বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে একটি চার বা ছক্কা হলেই গ্যালারিতে দর্শকদের উল্লাসই বলে দেয় এদেশের মানুষ কতোটা ক্রিকেট পাগল। দল খারাপ খেললে কখনো কখনো মন খারাপ হলেও আবারো সেই প্রিয় টাইগারদের সমর্থন দিতে মাঠে কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমর্থনের একটুও কমতি রাখেনা।
টাইগারদের সমর্থনের মধ্যেও মিরপুর স্টেডিয়ামে একশ্রেণির বাংলাদেশিরা পাকিস্তানকে সমর্থন করছে- বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক তোলপাড় চলছে। বাংলাদেশ-পাকিস্তান তৃতীয় টি-টোয়েন্টির আগেও বেশ কিছু বাঙালি ভক্তদের স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের জার্সি ও পতাকা পরে যেতে দেখা যায়। মহান মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যা চালানো পাকিস্তানিদের সমর্থনে এমন উল্লাস মেনে নিতে পারেনি দেশের সিংহভাগ মানুষ।
আজ খেলা শুরুর আগে মিরপুর স্টেডিয়াম গেটের সামনে কিছু তরুণকে দেখা যায় ব্যানার হাতে দাঁড়িয়ে থাকতে। তারা পাকিস্তানি পতাকা নিয়ে স্টেডিয়ামে আসা বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রতিরোধের ঘোষণা দেয়। তারা গ্যালারিতে পাকিস্তানি পতাকা ও জার্সি পরিহিত বাংলাদেশি সমর্থক দেখলে প্রতিবাদ জানাবেন বলেও জানায়।
এরপরেই একল সমর্থককে হইহই করতে দেখা যায়। এমন একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। ওই ভিড়ের মধ্যে একজনের হাতে পতাকা কেড়ে নেওয়া হয়। সেটি কোন দেশের পতাকা। এরপরেই আরেকজনকে দেখা যায় জার্সি আড়াল করে যাচ্ছেন। পরে সেটি খুলে দেখা যায় পাকিস্তানের জার্সি। বাঙালি হয়ে পাকিস্তানের সমর্থন বিষয়ে প্রশ্ন করেন ওই ভক্তকে। এরপর তার জার্সি কেড়ে নেওয়া হয়। তাকে আটক করা হলেও জার্সিটা নিয়েই ছেড়ে দেওয়া হয়।
গতকাল সচিবালয়ে বাংলাদেশি নাগরিকদের পাকিস্তানের প্রতি সমর্থনকে দুর্ভাগ্যজনক জানিয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘একটা দলকে যে কেউ সাপোর্ট করতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলার দিন অন্য দলকে সাপোর্ট করা শোভনীয় মনে হবে না। আপনারা বিষয়টি সরকারের দৃষ্টিগোচর করেছেন। আমরা আবশ্যই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখবো এবং আইনগত ব্যবস্থা অবশ্যই নেবে।