শ্যালিকার বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। ফেরার পথে রাস্তা থেকে তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে জোর করে বিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ভারতের বিহারের নালন্দা জেলার মানপুর থানার পারোহা গ্রামে এমন ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনাচক্রে যে ব্যক্তিকে জোর করে বিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তার নামও নীতীশ কুমার। তিনি ধানুকি গ্রামের বাসিন্দা।
গত ১১ নভেম্বর সারবাহড়ি গ্রামে শ্যালিকার বাড়িতে গিয়েছিলেন নীতীশ। অভিযোগ, সেখান থেকে ফেরার পথে পারোহি গ্রামে এক দল লোক তাঁকে ঘিরে ধরেন। তার পর নীতীশের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে ছাদনাতলায় নিয়ে যান। কেন তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে প্রথমে বিষয়টি বুঝতে পারেননি নীতীশ। কিন্তু বিয়ের মন্ডপে পৌঁছতেই তাঁর সন্দেহ হয়। এর পর তাকে জোর করে বিয়ের পিঁড়িতে বসানো হয়।
নীতীশের অভিযোগ, তিনি আপত্তি জানালে বেধড়ক মারধর করা হয়। সারা রাত ধরে আটকে রাখা হয় বলেও অভিযোগ। কোনও রকমে সেখান থেকে পালিয়ে থানায় হাজির হন নীতীশ। একটি অভিযোগও দায়ের করেছেন তিনি। মানপুর থানার এসএইচও জীতেন্দ্র কুমার জানান, ঘটনা সম্পর্কে শুনেছি। তদন্তে পর গোটা বিষয়টি স্পষ্ট হবে। ইতিমধ্যেই নীতীশকে জোর করে বিয়ে দেওয়ার সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।