ডিম সেদ্ধ খেতে ভালোবাসেনা এমন মানুষ খুব কমই আছে। পুষ্টিকর গুণের জন্য অনেকেই প্রাতরাশে ডিম সেদ্ধ খান। সাধারণত পানিতে ডিম সেদ্ধ করে হয়। তবে কখনো কি শুনেছেন ডিম সেদ্ধ করার জন্য পানি নয়, প্রস্রাব ব্যবহার করা হচ্ছে!
অবিশ্বাস্য মনে হলেও এটাই করা হয় চীনে। প্রস্রাবে সেদ্ধ করা ডিম চীনের অন্যতম জনপ্রিয় খাবার। বিশেষ করে বসন্তকালে প্রস্রাবে সেদ্ধ ডিমের চাহিদা বিপুল ভাবে বেড়ে যায়। কেন এই ধরনের ডিম খান চিনের মানুষ? তার পিছনেও একটা কাহিনি আছে।
প্রস্রাবে সেদ্ধ করা ডিমের এই প্রণালীকে ভার্জিন বয় এগ বলে। চীনের জোজিয়াং প্রদেশের ডোংইয়ঙে মূলত এই ভার্ন বয় এগ পাওয়া যায়। এখানকার মানুষের কাছে প্রস্রাবে সেদ্ধ ডিম অত্যন্ত প্রিয়। এর সঙ্গে ঐ প্রদেশের বিশেষ সাংস্কৃতিক যোগও রয়েছে। স্থানীয় ভাষায় এই খাবারকে তোংজি ডেন বলে। আবার বয় এগ নামেও পরিচিত এই খাবার।
বসন্তকাল এলেই স্কুলের ছেলেদের প্রস্রাব সংগ্রহ করা শুরু হয়ে যায় সেখানে
বসন্তকাল এলেই স্কুলের ছেলেদের প্রস্রাব সংগ্রহ করা শুরু হয়ে যায় সেখানে
বড়দিনের সময় ধুমধাম করে উৎসব পালন করেন জোজিয়াং প্রদেশের মানুষ। এই সময় ভার্জিন বয় এগ-এর বিপুল চাহিদা থাকে। বসন্তকাল এলেই স্কুলের ছেলেদের প্রস্রাব সংগ্রহ করা শুরু হয়ে যায় সেখানে। সেই প্রস্রাবে ডিম ডুবিয়ে রাখা হয়। যে হেযেতু ডিম সেদ্ধ করতে অবিবাহিত পুরুষদের প্রস্রাব ব্যবহার করা হয়, তাই এর নাম ‘ভার্জিন বয় এগ’ বলা হয়।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, চীনে ইস্টার উৎসবের সময় এই খাবারের চাহিদা বাড়ে। প্রথমে ডিম প্রস্রাবে সেদ্ধ করা হয়। তার পর খোসা ছাড়ানোর পর ফের প্রস্রাবে আবার ফোটানো হয় যাতে ডিম থেকে প্রস্রাবের গন্ধ আসে। স্থানীয়দের দাবি, ভার্জিন বয় এগ-এর এত চাহিদার কারণ হলো, এই খাবার খেলে নাকি শরীরে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয় এবং দেহের শক্তি বৃদ্ধি পায়। শুধু তাই নয়, আরো দাবি, এই ডিম খেলে নাকি জ্বর এবং সর্দি ধারেকাছেই ঘেঁষে না।
সূত্র: আনন্দবাজার