শিক্ষকের সঙ্গে একটি মাহফিলে দেখা ১৬ বছর বয়সী ছাত্রের। একসঙ্গে দুজনই ধর্মীয় আলোচনা শোনেন। এর মধ্যেই ছাত্রকে রাতের খাবারের জন্য নিজ বাড়িতে আমন্ত্রণ জানান শিক্ষক। ছাত্রও শিক্ষকের আবদার ফেলতে পারেননি। মাহফিল শেষে দুজনই রওনা হন। কিন্তু পথেই হিংস্র রূপ নেন শিক্ষক। হাত দিতে থাকেন শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে। বাধা দিলেও মরিয়া হয়ে ওঠেন। কোনো উপায় না পেয়ে নেইল কাটার দিয়ে শিক্ষকের গো’প’না’ঙ্গ কে’টে দেন ছাত্র।
বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার বেতাগৈর ইউনিয়নের পলাশিয়া গ্রামে। ৪২ বছর বয়সী শিক্ষকের নাম মো. আতাবুর রহমান। তবে এ ঘটনায় ছাত্রকে আটক করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, বুধবার রাতে উপজেলার খারুয়া ইউনিয়নের টাওয়াইল গ্রামে এক মাদরাসার মাঠে মাহফিল চলছিল। মাহফিলে অংশ নেন আতাবুর রহমান। একই মাহফিলে আলোচনা শুনতে যান একই মাদরাসার আবাসিক এক ছাত্র। মাহফিল চলার সময় রাতের খাবারের জন্য পূর্বপরিচিত ছাত্রকে বাড়িতে আমন্ত্রণ জানান শিক্ষক আতাবুর।
থানা হেফাজতে থাকা মাদরাসাছাত্র জানান, দাওয়াত রক্ষার জন্য শিক্ষকের সঙ্গে বাড়ি যাচ্ছিলেন তিনি। পথে তাকে কাছে টেনে নিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে হাত দিতে থাকেন শিক্ষক আতাবুর রহমান। একপর্যায়ে বাধা দিলে তাকে ব’লাৎ’কা’র করতে মরিয়া হয়ে ওঠেন শিক্ষক। এ সময় পাঞ্জাবির পকে’টে থাকা নেইল কাটার দিয়ে শিক্ষকের গো’প’না’ঙ্গে আ’ঘা’ত করেন। র’ক্তা’ক্ত অবস্থায় শিক্ষক চিৎকার করলে লোকজন ছুটে এসে তাকে ধরে ফেলেন। পরে তাকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
আহত শিক্ষক ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, যা ঘটেছে তা ওই ছাত্রের সঙ্গে অনৈতিক কাজ করতে গিয়েই ঘটেছে। ‘এটা হুজুরের প্রাপ্য ছিল’।
নান্দাইল মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান আকন্দ জানান, থানা হেফাজতে রয়েছে ছাত্র। বিষয়টি তদন্ত চলছে।