‘ওমিক্রন’ সংক্রমণ বিষয়ে আপাতত দেশে লকডাউনের পরিকল্পনা নেই। সীমান্ত বন্ধ না হলেও ল্যাব পরীক্ষার ওপর জোর দিচ্ছে সরকার বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
রবিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে সাভারে নবনির্মিত বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব হেলথ ম্যানেজমেন্ট (বিআইএইচএম) এ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনে এসে এ কথা জানান মন্ত্রী।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ সময় আরো জানান, আন্ত মন্ত্রণালয় এক সভায় ওমিক্রন সংক্রমণসহ করোনার উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী বিমানবন্দরের ল্যাবকে আরো বড় ও আধুনিকায়ন করা হয়েছে। বিদেশ থেকে আগতদের কোয়ারিন্টিন নিশ্চিতে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে দেশে আসতে চাইলে অন্তত ৪৮ ঘণ্টা আগের করোনার টেস্টের রিপোর্ট দেখাতে হবে। পূর্বের মতো হাসপাতালগুলোতে কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ সময় মন্ত্রী ‘ওমিক্রন’ রোধে ভ্যাকসিন নিতে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে জনগণকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি আরো বলেন, বিমানবন্দরে স্ক্যানিং ব্যবস্থা জোরদার ও ল্যাবের আয়তন বাড়ানো হয়েছে।
যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় পর্যাপ্ত প্রস্তুতির জন্য জেলা শহরে চিঠি দেওয়া হয়েছে। জনবল সংকটে ৮ হাজার নতুন নার্স ও ৪ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সংকটকালীন এই মুহূর্তে বিদেশে অবস্থানকারীদের দেশে না আসার ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করার আহ্বানও জানান তিনি।
এ ছাড়া বুস্টার ডোজ দেওয়ার পরিকল্পনা চলছে বলেও জানান মন্ত্রী। এর পাশাপাশি ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে চুক্তির সব টিকা আগামী ৩ মাসের মধ্যে দেশে আসার কথা রয়েছে।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজি অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মাদ খুরশিদ আলম, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, অতিরিক্ত সচিব মো. সাইদুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা, সাভার পৌরসভার মেয়র হাজী আব্দুল গনি, সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম, সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সায়েমুল হুদা।