চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি ও চিত্রনায়ক মামনুন হাসান ইমনের সাথে সদ্য পদত্যাগ করা তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইমনকে র্যাব সদর দফতরে ডেকে আনা হয়েছিলো। ইমনকে পাঁচ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দিয়েছে র্যাব। মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে র্যাব সদর দপ্তরের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ফোনালাপের অডিও ক্লিপ ফাঁসের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইমনকে ডেকে আনা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাত সোয়া ১১টায় তিনি র্যাব সদরদপ্তর থেকে বের হয়ে যান। এর আগে আজ (মঙ্গলবার) সন্ধ্যা ৬টার কিছু আগে ইমন র্যাব সদর দপ্তরে হাজির হন বলে জানা গেছে। সোমবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পদত্যাগ করা তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি ও চিত্রনায়ক ইমনের একটি ফোনালাপ ফাঁস হয়।
ওই অডিও ক্লিপস ফাঁসের সূত্র ধরে মঙ্গলবার বিকেলে চিত্রনায়ক ইমনকে জিজ্ঞাসাদের জন্য র্যাব কার্যালয়ে নেওয়া হয়। র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে ইমন বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন, যা যাচাই বাছাই করা হচ্ছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আরও কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে জানায় র্যাব। তার আগে সোমবার এবং মঙ্গলবার দুই দফা রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে গিয়েছিলেন ইমন। সেখানে ডিবির যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি।
ফেসবুক লাইভে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মেয়ের উদ্দেশ্যে অশালীন ও বর্ণবাদী মন্তব্য এবং ফাঁস হওয়া টেলিফোন কথোপকথনে একজন চিত্রনায়িকার সাথে অত্যন্ত অশালীন ও অশ্রাব্য ভাষায় কথা বলা নিয়ে প্রচণ্ড সমালোচনার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুরাদ হাসানকে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন।
মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম থেকে ই-মেইলে পদত্যাগপত্র পাঠান মুরাদ হাসান। ওই নায়িকার সঙ্গে কথা বলার সময় সেখানে একজন অভিনেতাও ছিলেন। পরে জানা যায় ওই চিত্রনায়িকা হলেন মাহিয়া মাহী ও অভিনেতা হলেন ত্রনায়ক ইমন। গতকাল সন্ধ্যায় ফেসবুকে লাইভে এসে ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন মাহিয়া মাহী। তিনি জানান ঘটনাটি দু’বছরের আগের।