পরিবারের অমতে নিজের পছন্দের ছেলেকে বিবাহ করায় অন্তঃসত্ত্বা বোনের শিরশ্ছেদ করে হত্যা করেছে এক কিশোর ভাই। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের আওরাঙ্গাবাদ জেলায়। বোনকে শিরশ্ছেদ করে হত্যা করা কিশোরকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। খবর বিবিসির। কিশোরের বয়স ১৮ বছরের নিচে বলে তার আইনজীবী জানানোর পর তাকে কিশোরদের জন্য একটি রিমান্ড হোমে পাঠানো হয়েছে। তবে, একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, তারা আদালতে এই দাবিকে চ্যালেঞ্জ করবেন, কারণ তাদের হাতে একটি সনদপত্র এসেছে, যেটা থেকে দেখা যাচ্ছে সে প্রাপ্তবয়স্ক। তাদের মাকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
আওরাঙ্গাবাদ জেলায় স্থানীয় এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, নিহত তরুণী পরিবারের অমতে বিবাহ করায় তাকে হত্যা করে তার ভাই। ওই তরুণী তার মাকে চা বানিয়ে দিচ্ছিল এমন সময় পেছন থেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার শিরশ্ছেদ করা হয় বলে তার মা জানান। পরে কাটা শিরশ্ছেদের সাথে সেলফিও তুলেছে কিশোর ভাই ও মা।
নিহত তরুণীর পরিবারের অমতে গত জুন মাসে বাড়ি থেকে পালিয়ে তার প্রেমিককে বিয়ে করেন। ওই তরুণ একই জাতের হলেও পরিবারের আপত্তির কারণ ছিল ছেলেটির পরিবার তাদের থেকেও বেশি দরিদ্র।বিয়ের পর তরুণী তার পরিবারের সঙ্গে বিশেষ যোগাযোগ রাখতেন না, কিন্তু হত্যার ঘটনার এক সপ্তাহ আগে তরুণীর মা মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে যান। পুলিশ বলছে তার মা জানতে পারেন তার মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা।
মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, ভারতে পরিবারের ইচ্ছার বিরুদ্ধে প্রেম বা বিয়ে করার কারণে প্রতি বছর শত শত হত্যার ঘটনা ঘটে। এধরনের হত্যাকে প্রায়ই আখ্যা দেয়া হয় ‘অনার কিলিং’ বা পরিবারের সম্মান রক্ষায় হত্যা বলে। ভারতীয় সমাজের নানা স্তরে এই পারিবারিক সম্মান এবং চিরাচরিত প্রথার শিকড় গভীরভাবে প্রোথিত হয়ে রয়েছে।
মার্চ মাসে ভারতে উত্তর প্রদেশের পুলিশ মেয়ের শিরশ্ছেদ করার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। পুলিশ ওই ব্যক্তির একটি ভিডিও প্রকাশ করে যেখানে তাকে বলতে শোনা যায়, তার মেয়ে এমন একজনের সঙ্গে প্রেম করছিল, যে প্রেম পরিবার সমর্থন করেনি। সে কারণেই তিনি তাকে হত্যা করেছেন।