ব্লাড প্রেসার ও কোলেস্টেরল কমাতে – জবা ফুলের চা

জবা একটি সুন্দর ও আকর্ষণীয় ফুল। এটি বিভিন্ন রঙের হয়ে থাকে। এর মধ্যে লাল জবা আয়ুর্বেদ ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। জবা ফুল থেকে তৈরি চা এখন খুবই জনপ্রিয়। ফুলের মতো জবা ফুলের চাও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর।

জেনে নেয়া যাক জবা ফুলের চায়ের উপকারিতা সম্পর্কে-

ব্লাড ক্যান্সার দূরে রাখে: হিবিস্কাস বা জবা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। এই ফুলের নির্যাসে থাকা অ্যান্থোসায়ানিন লিউকেমিয়া আক্রান্ত কোষকে মেরে ফেলে।

পিরিয়ডের সমস্যা মেটায়: নারীদের বিশেষ সময়ে যদি নিয়মিত জবা ফুলের চা খাওয়া যায়, তাহলে পিরিয়ড ক্র্যাম্প এবং যন্ত্রণা অনেকটাই কমে। সেই সঙ্গে অন্যান্য অস্বস্তিও দূর হয়। হরমোনাল ইমব্যালেন্স কমাতেও এই পানীয়টি দারুন কাজে আসে। তাই মেয়েরা যদি প্রতিদিন এই চা পান করতে পারেন, তাহলে দারুণ উপকার মেলে।

লিভারের কর্মক্ষমতা বাড়ে: সম্প্রতি বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে জবা ফুলে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেয়। এর ফলে লিভারের কর্মক্ষমতা বাড়ে। সেই সঙ্গে অনেক উপকারও পাওয়া যায়। ক্যান্সারের আশঙ্কা কমে। সেই সঙ্গে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়।

ব্লাড প্রেসার ও কোলেস্টেরল কমাতে: উচ্চ রক্তচাপের কারণে যাদের ওষুধ খেতে হয়, নিয়মিত তারা কয়েক কাপ করে জবা ফুলের পানি পান করুন। প্রেসার নিয়ন্ত্রণে আসবে। গবেষকরা জানাচ্ছেন, এর ভালো ফল পেতে দিনে তিন কাপ করে জবা ফুলের পানি অন্তত ছয় সপ্তাহ খেয়ে যেতে হবে। ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল কমাতেও জবার জুড়ি নেই। কার্ডিওভাসকুলার এবং সংবহনতন্ত্রের সমস্যাতেও এটি উপকারী। কোষ্ঠকাঠিন্যতে যারা ভুগছেন, তাদের জন্যও এটা মহাওষুধ। গলা ধরলেও খেতে পারেন, কাজ দেবে।

যেভাবে জবা ফুলের চা বানাবেন
প্রথমে জবা ফুলের পাঁপড়িগুলো ছিড়ে নিন। এবার একটি পাত্রে পানি দিন। পানির মধ্যে দারুচিনি বা এলাচ দিয়ে ফুটিয়ে নিন। দশ মিনিট ফোটানোর পর রং বদলালে ছেঁকে নিন। তারপর মধু মিশিয়ে পান করুন এই জবা ফুলের চা। এতে গ্রিন টি ব্যবহার করতে পারলে খুবই ভালো।

About reviewbd

Check Also

খাওয়ার পর বেল্ট ঢিলা করলেই বিপদ

দুপুরে ভাত খাওয়া ছাড়া বেশিরভাগ বাঙালির চলেই না! কিন্তু ভাত খাওয়ার পরে কয়েকটি কাজ করলে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *