স্ত্রী যখন স্বামীকে যথার্থ সম্মান না দেন, তখন পুরুষের জীবন হয়ে ওঠে দুর্বিষহ এবং অসম্মানের। এ ক্ষেত্রে অধিকাংশ সময় পুরুষ নিজেই দায়ি থাকেন। নিজের বুদ্ধির ভুলে এমন কিছু কাজ করে বসেন যা তাকে শুধু অসম্মানের নয় চরম অস্বস্তির করে তোলে। স্বামী হিসেবে এমন অস্বস্তির হতে না চাইলে কিছু আচরণ অবশ্যই পরিহার করা উচিৎ।
১. সাংসারিক খরচ বহনের যোগ্যতা স্ত্রীর যতই থাকুক না কেন, স্বামীকে বেকার ঘরে বসে থাকা কেউ মেনে নিতে পারে না। বেকার স্বামী পৃথিবীর সকল স্ত্রীর-ই চক্ষুশূল। তাছাড়া আর্থিক স্বচ্ছলতা যেকোনো মানুষকে শক্ত হয়ে কথা বলা বা সিদ্ধান্ত নিতে শেখায়। আর্থিক দূর্বলতায় থেকে নিজেকে গুটিয়ে রাখার অভ্যাস স্বামীকে স্ত্রীর চোখে অপদার্থে পরিণত করে।
২. স্ত্রীর পরিবারের কোনো বিষয় নিয়ে দিনের পর দিন অকারণে খোটা দেয়াটা ছোট মনের পরিচয় দেয়। শ্বশুরবড়ির কাউকে নিয়ে অসম্মান করে কথা বলা স্বামীকে স্ত্রীর চোখে চরম অসম্মানের করে তোলে।
৩. শ্বশুর বাড়ি থেকে যৌতুক বা উপহার চাওয়া বা পাওয়ার জন্য চাপ দেয়া স্বামীকে মোটেও সম্মানের করে না। পরের জিনিসের প্রতি লোভই প্রকাশ পায়। যে ব্যক্তি পরের জিনিসের প্রতি খুব বেশি আকৃষ্ট থাকে, সে আর যায় হোক নিজের সম্মান ধরে রাখতে জানে না। সামান্য ব্যাপারে স্ত্রীর সঙ্গে মনোদ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে। সুখের দাম্পত্য বিষিয়ে ওঠে অচিরেই।
৪. অনেক পুরুষ নিজের পরিবারের সদস্যদের কাছে স্ত্রীকে লাঞ্ছিত হতে দেখেও চুপ করে থাকেন, এমনকি রাস্তায় টিজিং-এর শিকার হতে দেখেও কিছু বলেন না। এতে আসলে চিরকালের মতো স্বামীরা স্ত্রীর চোখে গুরুত্ব হারান।
৫. স্ত্রীর সামনে অন্য নারীর প্রশংসা বা তার প্রতি দূর্বলতা প্রকাশ স্বামীর সম্মান নষ্ট করে দেয়। এই স্বভাব ক্রমাগত ধরে রাখলে স্বামীকে ফালতু ভাবা স্বাভাবিক।
৬. সংসারের কাজে স্ত্রীকে যৎ সামান্য হলেও সাহায্য করুন। নাহলে স্ত্রীর কাছে আপনি অপ্রয়োজনীয় হয়ে উঠবেন। এমনকি সন্তানদের চোখেও। আর এসব আচরণ একজন স্বামীকে দিনে দিনে চরম অসম্মানের করে তুলতে যথেষ্ট।