৮ লক্ষণে বুঝবেন প্রস্রাবে সং’ক্রম’ণ- প্রস্রাবে সংক্রমণ খুবই ক’ষ্ট’দায়ক রোগ। রোগটি হলে তলপেটে প্রচণ্ড ব্য’থা হয়। পুরুষের চেয়ে নারীরা এ রোগে বেশি আ’ক্রা’ন্ত হয়ে থাকেন।
প্রস্রাবে সংক্রমণ কী?
শরীরে মূত্র তৈরি এবং দেহ থেকে তা নিঃসরণের জন্য যে অঙ্গ সমূহ কাজ করে সেগুলোতে কোনো কারণে ইন’ফে’কশন দেখা দিলে তাকে ইউনারি ট্রোক্ট ইনফেকশন (ইউটিআই বা UTI) বলে। একটু সতর্ক হলে এ রোগ থেকে আমরা মুক্তি পেতে পারি।
লক্ষণ-
ঘন ঘন প্রস্রাব। প্রস্রাবের প্রচণ্ড চাপ অনুভব। প্রস্রাবের সময় ব্য’থা, জ্বা’লা পো’ড়া ও অস’হ্য অনুভূতি। তলপেটে স্বাভাবিক ভাবে অথবা চাপ দিলে ব্যথা অনুভব। ঘন ফেনার মতো অথবা দুর্গন্ধ যুক্ত প্রস্রাব।
জ্বর-কাঁপুনি সহ অথবা কাঁপুনি ছাড়া। ব’মি ব’মি ভাব ও ব’মি হওয়া। কোমরের পাশের দিকে অথবা পেছনে মাঝামাঝি অংশে ব্যথা। এ ছাড়া প্রস্রাবের চাপে রাতে বারবার ঘুম ভে’ঙে যাওয়া।
চিকিৎসা-
ড্রাগ থেরাপি হিসেবে চিকিৎসকরা নিম্ন লিখিত গ্রুপের ওষুধ সমূহ ব্যবহার করে থাকেন, সেফালোস্পরিন, লিভোফক্সাসিন, গ্যাটিফক্সাসিন ইত্যাদি খুবই ভালো, যা ৯৬ শতাংশ কার্যকর ব্যাক্টেরিয়া জনিত কারণে হলে।
অন্য দিকে ফাংগাসের কারণে হলে এন্টি ফাংগাল মেডিসিন দিয়ে থাকেন, সেই সঙ্গে চুলকানি থাকলে তা রোধ করার জন্য এন্টি ফাংগাল বা করটিকস্টারয়েড জাতীয় ক্রিমও দেয়া হয় বাইরের চুলকানি দূর করার জন্য এবং বেশি ব্য’থা থাকলে নিউরোস্পাস্মটিক ওষুধ বেশ আরামদায়ক।
পুনরাবৃত্তি সংক্র’মণ না হওয়ার জন্য একই সঙ্গে সহবাস সঙ্গীকে প্রতিষেধক অ্যান্টিবায়োটিক দেয়া উচিত।
হারবাল-
যেহেতু ইহা ব্যাক্টেরিয়ার আক্র’মণে হয়ে থাকে, তাই ব্যাক্টেরিয়া ধ্বং’স’কারী অ্যান্টিবায়োটিক ছাড়া এখনও অন্য কিছু নেই। তবে সাপ্লিমেন্টারি হিসেবে সর্বশেষ রিসার্চ অনুসারে নিুের দুটি ওষুধ ভালো ফল দায়ক (Cranberry 750mg Extract Super Strength) ট্যাবলেট, যা দিনে তিনটি পর্যন্ত খেতে হবে কেনবারি জুস খুবই ফলদায়ক. যা দিনে ৩/৪ কাপ খেলে উপকৃত হবেন, তবে যাদের এ’লার্জি আছে তাদের জন্য নিষেধ।
অথবা ট্যাবলেট Bromelain 80mg দিনে দুবার খেতে পারেন, তবে এটি শিশু দের জন্য নিষেধ (বারমুলিন মূলত আনারসকে বলা হয়েছে অর্থাৎ আনারসের সিরাপ দিনে ২/৩ বার খেলে ভালো উপকার পাওয়া যাবে)।
সতর্কতা-
কোনো ওষুধই রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত সেবন করা নিষেধ।