যৌ”ন মি”ল”নে তৃপ্তি নেই? নিজেকে অসুখী মনে হয়? মনে হয় সুখের ভাণ্ডার অপূর্ণ রয়ে গেল? আপনি পুরুষ-মহিলা, যা-ই হোন না কেন, সুখী দাম্পত্য জীবনের চাবিকাঠি লুকিয়ে আছে কিন্তু আপনার মধ্যেই! সাম্প্রতিক এক গবেষণা জানাচ্ছে, মানসিক দোটানা, দ্বিধা, দোদুল্যমানতা কাটিয়ে আপনার সঙ্গীর কাছে মেলে ধরুন মনের খাতার পাতা, নিজের আবেগ-অনুভব উজাড় করে দিন তাঁর কাছে, দেখবেন যৌ”ন জীবনে মজার রঙ কতটা বেড়ে গিয়েছে! মি”ল”নের সুখের মাত্রা কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে!
কানাডার ইউনিভার্সিটি দ্য মন্ট্রেলের মনস্তত্ব বিভাগের অধ্যাপক নাইলা আওয়াদা তাঁর গবেষণায় বলছেন, আপনি যত দোদুল্যমানতায় ভুগবেন, আপনার ভিতরে আবেগের স্রোত তত রুদ্ধ হবে, সঙ্গীর কাছে নিজেকে মেলে ধরতে পারবেন না, অদৃশ্য পাঁচিল তৈরি হবে দুজনের মাঝখানে। গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে মেডিক্যাল ডেইলিতে।
নাইলা জানিয়েছেন, গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যে দম্পতিরা মন খুলে মনের ভিতর জমে থাকা আবেগ পরস্পরের সঙ্গে ভাগ করে নিতে পারেন, তাঁদের যৌ”ন জীবন অনেক অনেক সুখের হয়। শরীর-মন থাকে সুন্দর, সতেজ।
এমনকী বিশেষত, শা”রী”রিক মি”ল”নের সময় যে ম”হিলা”রা যৌ”না”ঙ্গের মুখে জ্বালা-যন্ত্রণা, অনুভব করেন, তাঁদের ক্ষেত্রেও দেখা গিয়েছে, স্বামীর সঙ্গে তাঁদের খোলামেলা আবেগের লেনদেন হলে তাঁরাও মিলনে সুখ পান।।এই সমস্যাটিকে প্রোভোকড ভেস্টিবুলোডিনিয়া (পিভিডি) বলা হয়। নাইলা এই সিদ্ধান্তে এসেছেন এমন ২৫৪ জন দম্পতির ওপর পরীক্ষা চালিয়ে যেখানে স্ত্রী”র ‘পিভিডি’ রয়েছে।
নাইলা বলেছেন, স্বামী-স্ত্রীর ভিতরে আবেগের স্রোত শুকিয়ে গেলে, শা”রীরি”ক বা পার”স্পরিক স”ম্প”র্কজনিত জটিলতা থাকলে তা থেকে দু’জনের মধ্যেই নিজেকে গুটিয়ে রাখার প্রবণতার জন্ম হয়। তা থেকেই ক্রমশ পরস্পরের কাছ থেকে দূরে সরে যান দুজনে। এক ছাদের তলায় থেকেও অচেনা হয়ে যান দু’জন দু’জনের কাছেই।