নারী-পুরুষ কে কখন যৌ”ন মি”ল”নে আগ্রহী?

দেখা গেছে অধিকাংশ পুরুষরাই রাতের বেলা যৌ”ন মিলন বা স”হবা”স করা এড়িয়ে চলতে চায় । এ ক্ষেত্রে সকালের দিকটাকেই তারা বেছে নেয়। অন্যদিকে নারীরা রাতের বেলায় সে”ক্স করতে আগ্রহী। দেখা যায়, রাতের বেলায় নারীরা যখন সে”ক্স করার জন্য বেপরোয় হয়ে উঠে ঠিক তখন পুরুষরা নাক ডেকে ঘুমাচ্ছে। আবার সকাল বেলা যখন পুরুষরা সে”ক্স করতে চায় তখন নারীদের এ নিয়ে তেমন কোনো আগ্রহ থাকেনা।

অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে আসলে এমনটি কেন হয়। ভারত ভিত্তিক গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মানুষের হরমোনের কারণে এমনটি দেখা যায়। আসুন দেখা যাক, কোন সময় মানুষের যৌ”ন প্রণোদনা কেমন হয়।

ভোর পাঁচটা :- যখন একজন পুরুষ ঘুম থেকে ওঠে তখন তার টে”সটো”সটেরনের মাত্রা সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকে। এসময় এটির মাত্রা থাকে ২৫-৩০ শতাংশের মধ্যে। এটি দিনের অন্য যেকোন সময়ের চেয়ে বেশি। এছাড়া পুরুষের সে”ক্স হ”রমো”ন উৎপাদনের জন্যে যে পিটুইটারি গ্রন্থি কাজ করে সেটি রাতে চালু হয়। ভোরের দিকে এটি বাড়তে থাকে।

অন্যদিকে, নারীদেরও প্রধান সে”ক্স হর”মো”ন টেসটোসটেরন রাতের বেলায় কাজ করে। কিন্তু এটি অল্প পরিমাণে বাড়ে। এটি ওয়েস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরোনের মাধ্যমে ভারসাম্য বজায় রাখে।

সকাল ছয়টা :- ভাল ঘুম উত্তেজনা বৃদ্ধির একটি কারণ। গবেষণায় দেখা গেছে, দীর্ঘ সময় গভীরভাবে একটি ঘুম দিলে টেসটোসটেরনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। আমেরিকান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ৫ ঘণ্টার বেশি ঘুম পুরুষের টেসটোসটের মাত্রা অতিরিক্ত ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি করে।

সকাল সাতটা :- যখন পুরুষরা সকালে ঘুম থেকে ওঠে তখন তাদের সে”ক্স হর”মো”নের মাত্রা সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকে। এসময় নারীদের সে”ক্স হ”রমো”নের মাত্রা সর্বনিম্ন পর্যায়ে থাকে। ওয়েস্ট বার্মিংহাম হাসপাতালের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ গ্যাব্রিয়েল ডৌনি বলেছেন, দিনের অপরভাগে নারী ও পুরুষের টেসটোসটেরনের মাত্রা সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকে। তবে ঋতুস্রাবের কারণে নারীদের সে”ক্স হ”রমো”ন ব্যাপকভাবে ওঠানামা করে।

সকাল আটটা :- এসময় নারী ও পুরুষ উভয়ই দিনের কাজের জন্যে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। তাদের স্ট্রেস হরমোন করটিসলের পরিমাণ বাড়তে থাকে। এটি মানুষের সে”ক্স হরমোনের প্রভাবকে কমিয়ে আনে।

দুপুর বারোটা :- এসময় সামনে দিয়ে সুন্দরী রমণী হেঁটে বেড়ালেও কোনো ধরনের যৌ”ন প্রণোদনা তৈরি হয় না। এ সময় হয়ত কাউকে দেখলে মনের মধ্যে ভালো লাগা তৈরি হয়। এসময় সে”ক্স হ”রমো”ন বাড়তে অনেক সময় নেয়।

বেলা একটা :- এসময় যদি কোনো নারী তার সঙ্গীকে নিয়ে চিন্তা করে তাহলে তার টেসটোসটেরনের মাত্রাটা দ্রুত বাড়ে। কিন্তু পুরুষদের এসময় সে”ক্স হরমোন অনেক ধীরে কাজ করে।

সন্ধ্যা ছয়টা :- এই সময়ে নারীদের টেস”টোসটেরনের মাত্রা বাড়তে শুরু করে। অন্যদিকে পুরুষদের টে”সটো”সটের মাত্রা কমতে থাকে। তবে একটি গবেষণায় দেখা গেছে, জিম করার পর নারী ও পুরুষ উভয়েরই কা”মশ”ক্তি বাড়ে।

সন্ধ্যা সাতটা :- জাপানের নারা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, এসময় মিউজিক নারীদের সে”ক্স হ”রমো”ন বৃদ্ধি করে। কিন্তু পুরুষের ক্ষেত্রে তেমন কোনো প্রভাব পড়ে না।

রাত আটটা :- এসময় যদি পুরুষরা টেলিভিশনে উত্তেজনাপূর্ণ কোনো খেলা দেখে তাহলে সেটি তার সেক্স হরমোন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। উথাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক লালা গবেষণায় দেখা গেছে, এমন সময় যদি কেউ বিশ্বকাপের মত কোনো একটি উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচ দেখে এবং তার পছন্দের দল জিতে তাহলে তার সে”ক্স হরমোন ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। আর যদি তার দল হারে তাহলে তার সে”ক্স হ”রমো”ন ২০ শতাংশ কমে যায়। অন্যদিকে, নারীরা খেলা দেখার চেয়ে খেলা করলে তার সে”ক্স হ”রমো”ন বেশি বৃদ্ধি পায়।

রাত নয়টা :- এসময় নারীদের সে”ক্স হ”রমো”ন সাধারণত বৃদ্ধি পায়। তবে যদি নারীরা মনে করে যে তাকে দেখতে খুব খারাপ দেখাচ্ছে তাহলে সে সে”ক্স করতে তেমন আগ্রহী হয় না।

রাত দশটা :- এসময় যদিও পুরুষদের টেসটোসটেরনের মাত্রা কম থাকে তারপরও তারা সঙ্গীনির সাথে সে”ক্স করতে চায়। এসময় নারীদেরও যৌ”ন চা”হিদা বেশি থাকে।
নারী-পুরুষের যৌ”ন প্রণোদনা তাদের ব্যক্তিগত ইচ্ছার উপর নির্ভর করে না। হ”রমো”নই এটির প্রধান চালিকা শক্তি। একারণে পুরুষ ও নারীর যৌ”ন চাহিদার মধ্যে পার্থক্য দেখা যায়।

About reviewbd

Check Also

বেশি আনন্দ পেতে বের হলো স”হ”বাসের নতুন পজিশন

আশা করি সবাই ভাল আছেন। আজ আপনাদের মাঝে অরেকটি আর্টিকেল নিয়ে হাজির হলাম। আজ আপনাদের …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *