দৌড়-ঝাঁপ ভরা জীবনে অনিয়মের জেরেই আমাদের শরীরে দানা বাঁধছে বিভিন্ন রকম রোগ। সময়ের অভাবে আর গুরুত্বের অভাবে সেই রোগ থেকেই পরবর্তীকালে সৃষ্টি হচ্ছে শরীরে নানারকম অসুবিধা।
শুধু তাই নয় ছোটো রোগই পরবর্তীতে বড় আকার ধারণ করে মারণরোগের আকার নেয়। কিন্তু আমরা চাইলে খুব সহজেই এসমস্ত রোগের মূলে বিনাশ করতে পারি, তাও আবার ঘরোয়া টোটকাতেই।
তেলের উপকারিতা সম্পর্কে আমরা নিশ্চই জানি। শুধু রান্নার কাজেই নয়, বিভিন্ন রকম তেল বিভিন্ন রকম শারীরিক সমস্যা নিরাময়ের কাজেও লাগে। মাত্র দু’তিন ফোটা তেল নাভিতে ঢেলে মুহূর্তের মধ্যেই গোপন দুর্বলতা থেকে শুরু করে গাঁটে ব্যথা, হাঁটুতে ব্যথা, ঠাণ্ডা, ফ্লু, সর্দি ও ত্বকের সমস্যার সমাধান করা যায়। কিভাবে তা জেনে নিন –
গোপন দুর্বলতায় – নাভিতে ৪-৫ ফোটা নারিকেল তেল বা অলিভ অয়েল দিয়ে মালিশ করুন। এটা সপ্তাহে তিন দিন ব্যবহার করলে আপনার গোপন দুর্বলতা কমে যেতে শুরু করবে এবং এতে উর্বরতাও বাড়বে।
হাঁটু ব্যথা – রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে কয়েক ফোটা ক্যাস্টর তেল হাঁটুতে মালিশ করুন। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখবেন আপনার হাঁটুর সব ব্যথা কমে গেছে।
ব্রণ – ব্রণ হলে নাভিতে কয়েক ফোটা নিম তেল দিয়ে আলতো হাতে মালিশ করুন। এই তেল কয়েক দিন ব্যবহারে আপনার ব্রণ কমে যাবে। তবে এই তেল আবার মুখে ব্যবহার করবেন না যেন, তাহলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
উজ্বল ত্বক – তিন-চার ফোটা বাদাম তেল আপনার নাভিতে দিয়ে মালিশ করুন। এভাবে কয়েক দিন ব্যবহারে দেখবেন আপনার ত্বক কেমন উজ্জ্বল হয়ে গেছে। এছাড়া কয়েক ফোটা ঘি নাভিতে মালিশ করলে আপনার ত্বক কোমল হবে। আপনি হয়ে উঠবেন আরও মোহনীয়।
ফাটা ঠোঁট ও গিরায় ব্যথা – আপনার নাভিতে দু’তিন ফোটা সর্ষের তেল দিন। এটা শুনে আপনার চোখ কপালে উঠতে পারে, মনে হতে পারে নাভির সঙ্গে ঠোঁট ও গিরার সম্পর্ক কি। তবে বিশ্বাস করুন কয়েক ফোটা সর্ষের তেল নাভিতে দিয়ে মালিশ করলেই আপনার ঠোঁট ফাটা ও গিরার ব্যথা কমে যাবে।