বিশ্বব্যাপী ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ইউরোপ, অ্যামেরিকায় ছড়িয়ে পড়ছে ওমিক্রন। সতর্ক প্রশাসন। ভারতেও বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা।ফ্রান্স, ইউক্রেন, ডেনমার্ক, ইটালি, স্পেন, পর্তুগাল, গ্রিস সহ ইউরোপের একাধিক দেশ ওমিক্রনে জর্জিরিত। সংক্রমণ বাড়ছে জার্মানিতেও। অস্ট্রেলিয়াতেও গত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড পরিমাণ সংক্রমণ বেড়েছে। পরিস্থিতি দেখে গোটা বিশ্বকে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ডাব্লিউএইচও।
সংস্থার প্রধান বুধবার বলেছেন, ডেল্টার চেয়ে দ্রুত সংক্রমিত হচ্ছে ওমিক্রন। বিভিন্ন দেশে ওমিক্রনের কারণে পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হচ্ছে। সকলকে এ বিষয়ে সতর্ক হতে হবে। ডাব্লিউএইচও-র বক্তব্য, ডেল্টা প্রজাতির ভাইরাস এখনো চলে যায়নি। তারই মধ্যে ওমিক্রন চলে আসায় পরিস্থিতি আরো জটিল হয়েছে। দুইটি ভাইরাস একত্রে ছড়িয়ে পড়ছে। করোনার সুনামি আসতে চলেছে বলে জানিয়েছেন ডাব্লিউএইচও-র প্রধান।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় সবচেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন ফ্রান্সে। দুই লাখ সাত হাজার। ফ্রান্সের প্রত্যেক দুই জনের মধ্যে একজন এখন করোনায় আক্রান্ত। ফ্রান্সের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বুধবার জানিয়েছেন, এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি তারা এর আগে কখনো দেখেননি। তবে ফরাসি হাসপাতালগুলি পরিস্থিতি সামলাতে প্রস্তুত বলেও তিনি জানিয়েছেন। বহু মানুষ এখন হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি। জার্মানির অবস্থাও তথৈবচ।
গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণ সামান্য কমলেও নতুন ঢেউ দেশে আছড়ে পড়েছে বলে জানিয়ে দিয়েছেন জার্মান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। ফলে দেশ জুড়ে নতুন বিধিও চালু করা হয়েছে। জার্মান বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, সে দেশের অবস্থাও ফার্নসের মতো হবে। টেস্ট কম হওয়ার কারণে আসল তথ্য এখনো সামনে আসছে না। ক্রিসমাসের ছুটির জন্য টেস্ট কম হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বুধবার করোনার নতুন ঢেউ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। এদিন তিনি জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ১০ হাজার মানুষ দেশের একাধিক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। মার্চের পর এই সংখ্যাটি রেকর্ড। অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় পোল্যান্ডে ৭৯৪ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনায়। দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সরকারিভাবে নতুন ঢেউ ঘোষণা করে দিয়েছেন।
ভারতেও নতুন করে করোনার সংক্রমণ লাফিয়ে বাড়তে শুরু করেছ। দিল্লি, মুম্বই, কলকাতা সহ একাধিক রাজ্যে নতুন করে করোনা সতর্কতা জারি হয়েছে। মুম্বইয়ের ধারাভি বস্তিতে ফের করোনা আক্রান্ত মিলেছে। দিল্লিতে নাইট কার্ফিউ জারি হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, ফেব্রুয়ারিতে নতুন ঢেউ সর্বোচ্চ জায়গায় পৌঁছাবে। বর্ষশেষেই তার প্রভাব শুরু হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে।
সূত্র: রয়টার্স, ডয়েস ভেলে।