ওমিক্রনের ২০টি উপসর্গের মধ্যে কোনটি বেশি ভোগাচ্ছে?

করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট বর্তমানে সবার কাছে দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর উপসর্গ মৃদু। তবে ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগী কোভিড নেগেটিভ হলেও পরবর্তীতে লং কোভিড হওয়ার ঝুঁকি আছে। যা শরীরে মারাত্মক সমস্যার কারণ হতে পারে।

ওমিক্রনের উপসর্গ হিসেবে অনেকের কাশি হলে থামতে চাইছে না। কারও আবার দু’দিনের জ্বরের পর আর কোনো উপসর্গই নেই। করোনার ডেল্টা রূপের সংক্রমণের থেকে ওমিক্রনের সংক্রমণ একেবারেই আলাদা ধাঁচের বলে বারবার সতর্ক করছেন চিকিৎসকরা।

একে তো শীতকাল তার উপর করোনা আবহ সব মিলিয়ে এ সময় সুস্থ থাকা চ্যালেঞ্জের বিষয়। সামান্য সর্দিই কি করোনার লক্ষণ, নাকি জ্বর আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে, এমন নানা প্রশ্ন ঘিরে ধরছে সবাইকে।

চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক কোন কোন উপসর্গ দেখলে দেরি না দ্রুত কোভিড টেস্ট করাবেন। জানুন ওমিক্রনের ২০টি লক্ষণ।

এর মধ্যে কোনটি কত বেশি দেখা যাচ্ছে সে বিষয়েও গবেষণা চালানো হয়েছে। ওমিক্রনে আক্রান্তরা সবচেয়ে বেশি কোন ধরনের সমস্যায় ভুগছেন। চলুন তা জেনে নেওয়া যাক-

১. নাক দিয়ে পানি পড়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে ৭৩ শতাংশের ২. মাথাব্যথা থাকছে ৬৮ শতাংশ ৩. ক্লান্তিতে ভুগছে প্রায় ৬৪ শতাংশ ৪. হাঁচি হচ্ছে ৬০ শতাংশ রোগীর
৫. গলা ব্যথাও ৬০ শতাংশ ক্ষেত্রে ৬. খুব কাশি হচ্ছে ৪৪ শতাংশের

৭. গলা ভেঙে যাচ্ছে ৩৬ শতাংশের ৮. কাঁপুনি হচ্ছে ৩০ শতাংশ রোগীর ৯. জ্বর আসছে ২৯ শতাংশের ১০. মাথা ঝিমঝিম করছে ২৮ শতাংশের ১১. মস্তিষ্কে ধোঁয়াশা আছে ২৪ শতাংশের

১২. পেশীতে ব্যথা ও টান ধরছে ২৩ শতাংশের ১৩. গন্ধের অনুভূতি হারাচ্ছেন ১৯ শতাংশ রোগী ও ১৪. বুকে ব্যথাও ১৯ শতাংশ ১৫. চোখে ব্যথায় ভুগছে প্রায় ২৩ শতাংশ
১৬. ক্ষুধা কমেছে প্রায় ২১ শতাংশ রোগীর ১৭. গ্রন্থি ফুলে উঠেছে ১৮.৫১ শতাংশের

১৮. হতাশাগ্রস্ত ও বিষন্নতা বোধ করছে ১৬ শতাংশ ১৯. শরীরে কাঁপুনি হয়েছে ৩০.৪১ শতাংশের ও ২০. অন্যান্য সমস্যায় ৩৫ শতাংশ রোগী ভুগেছে।

জো কোভিড স্টাডির তথ্য বিশ্লেষণ করে ওমিক্রনের মোট ২০টি উপসর্গ সম্পর্কে জানা গেছে। জো কোভিড অ্যাপে করোনায় আক্রান্তরা তাদের শারীরিক সমস্যা সম্পর্কে পোস্ট করেন।

সূত্র: দ্য কনভারসেশন/নিউজ জিপি

About reviewbd

Check Also

খাওয়ার পর বেল্ট ঢিলা করলেই বিপদ

দুপুরে ভাত খাওয়া ছাড়া বেশিরভাগ বাঙালির চলেই না! কিন্তু ভাত খাওয়ার পরে কয়েকটি কাজ করলে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *