অনেকেই খাবারে বাড়তি লবণ নিয়ে অভ্যস্ত। একটু স্বাদ বাড়াতে গিয়ে তারা নিজেকে ঠেলে দেন হৃদরোগ, হাইপারটেনশন ও স্ট্রোকের ঝুঁকিতে। লবণ বেশি খেলে শরীরও কিন্তু সংকেত দেয়। আর সংকেতগুলো সময়মতো ধরতে না পারলে ধেয়ে আসবে আরও বড় বিপদ। তো কীভাবে বুঝবেন শরীরে লবণ বেড়ে গেছে?
ঘন ঘন তৃষ্ণা
পরিমাণমতো পানি পানের পরও পিপাসা কমছে না? শরীরে থাকা বেশি সোডিয়াম তথা লবণটাই আপনার ভেতরকার তরলের ভারসাম্য ঠিক রাখতে পারছে না। এটা পানিশূন্যতারও প্রাথমিক লক্ষণ। এমনটা দেখা দিলে শরীরে সোডিয়ামের পরিমাণ পরীক্ষা করুন।
পেট ফাঁপা
অল্প খাওয়ার পরও পেট ফেঁপে যাচ্ছে বা হাঁসফাঁস লাগছে? একটু পানি খেলে ভালো লাগবে ভেবে গ্লাসে চুমুক দিলেন। কিন্তু দেখা গেলো পেট আরও ভারী হয়ে গেলো। অতিরিক্ত লবণ গ্রহণই এর জন্য দায়ী হতে পারে।
অনবরত মাথাধরা
আগে করতো না, কিন্তু ইদানীং প্রায়ই মাথাব্যথায় আক্রান্ত হচ্ছেন? অন্য কোনও সমস্যা না থাকলে ধরে নিন শরীরের অতিরিক্ত লবণই চাপ বাড়াচ্ছে মাথায়।
পেশীর অস্বাভাবিকতা
শরীরে পানি পানি ভাব চলে আসা বা মাংশপেশীর অস্বাভাবিক ব্যথার জন্য অতিরিক্ত লবণও দায়ী। শরীরে সোডিয়ামের ভারসাম্য ঠিক না থাকলেও ত্বক কুঁচকে আসে বা ফুলে ওঠে। তাই লক্ষ্য রাখুন, বিশেষ কোনও কারণ ছাড়াই মোটা হয়ে যাচ্ছে কিনা বা ত্বক কুঁচকে আসছে কিনা।
তীক্ষ্ম ব্যথা
অতিরিক্ত লবণ হাড়েরও ক্ষতি করে। বিশেষত নারীদের হাড় ক্ষয়ের পেছনে অতিরিক্ত লবণ গ্রহণই বেশি দায়ী। তাই হাড়ের ক্ষয়জনিত বা বিভিন্ন জয়েন্টে তীক্ষ্ম ব্যথা হলে লবণের পরিমাণটা পরীক্ষা করে নিন।
স্বাদ লাগছে না?
যতই লবণ দিচ্ছেন মনে হচ্ছে আরেকটু দেওয়া উচিৎ? বেশি লবণ খাওয়ার বড় একটা কুফল এটি। এতে করে পরে লবণ পরিমিত মাত্রায় খেলেও মনে হবে খাবারে মোটেও লবণ হয়নি। অর্থাৎ অতিরিক্ত লবণ আপনার স্বাদের অনুভূতিও বদলে দেয়।