দেশে হঠাৎ করেই বেড়েছে চোখ ওঠা রোগীর সংখ্যা। গত কয়েক দিনে এ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। চোখে ময়লা, ফোলা, লালচেভাব, পানি পড়া, চুলকানি, ব্যথাসহ নানা যন্ত্রণায় ভুগছেন রোগীরা। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও সতর্ক থাকার পাশাপাশি চোখ ফুলে যাওয়ার উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে সংক্রামক রোগের প্রকোপ বেড়েছে। তাই হাসপাতালগুলোতে বাড়তি চাপ বেড়েছে। চোখের এই রোগটির সাথে কমবেশি সবাই পরিচিত। ডাক্তারি ভাষায় একে বলে কনজাংটিভাইটিস। এই রোগটি সাধারণত ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের কারণে চোখের পাতলা আবরণ সৃষ্টি করে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এটি ভাইরাসের কারণেও হয়ে থাকে।
জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক ও কর্নিয়া বিশেষজ্ঞ ডা. এস এম এনামুল হক বলেন, চোখের রোগ ছড়ানোর দুটি কারণ রয়েছে। একটি সরাসরি, অন্যটি সংক্রমিত ব্যক্তির টিস্যু, রুমাল, তোয়ালে বা তোয়ালে ব্যবহারের মাধ্যমে। অতএব, আক্রান্ত ব্যক্তির দ্বারা ব্যবহৃত নিবন্ধগুলি অন্যদের দ্বারা স্পর্শ করা থেকে এড়ানো উচিত।
এদিকে হঠাৎ করে রোগী বেড়ে যাওয়ায় ফার্মেসিগুলোতে ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে। দাম বাড়ানোর অভিযোগ উঠেছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে।