প্রস্রাব চেপে রাখার অভ্যাস কিন্তু মোটেই ভাল নয়। তবে অনেকের এই বদ অভ্যাস রয়েছে। এই অভ্যাসে প্রস্রাবের সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। মূত্রনালিতে উপস্থিত কিছু ব্যাক্টেরিয়া প্রস্রাবের মাধ্যমে দেহের বাইরে বেরিয়ে যায়। কিন্তু যখন দীর্ঘ সময় মূত্রথলিতে প্রস্রাব আটকে থাকে, তখন ব্যাক্টেরিয়ার দ্রুত বংশবৃদ্ধি ঘটতে পারে, যা ডেকে আনে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ। শুধু তা-ই নয়, এই অভ্যাসের কারণে শরীরে আরও অনেক সমস্যা হতে পারে। জেনে নিন সেগুলি কী কী।
১) মূত্রের মাধ্যমে শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থগুলি বেরিয়ে যায়। তবে দীর্ঘ ক্ষণ প্রস্রাব চেপে রাখলে এই ধরনের বর্জ্য পদার্থ দেহের ভিতরেই জমতে শুরু করে। কিডনির ভিতরে তখন বর্জ্য পদার্থ জমে পাথরে পরিণত হয়। কিডনিতে পাথর জমলে তা থেকে ব্যথা, সংক্রমণ এমনকি, রক্তপাতের মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
২) অনেক ক্ষণ প্রস্রাব আটকে রাখলে মূত্রাশয় দুর্বল হয়ে যেতে পারে। সাধারণত যখন মূত্রাশয় পূর্ণ থাকে তখন এটি প্রসারিত হয় এবং মূত্রত্যাগ করলে সেটি আবার সঙ্কুচিত হয়ে যায়। ক্রমাগত প্রস্রাব আটকে রাখলে মূত্রাশয় আকারে বেড়ে যায়।
দীর্ঘ সময় মূত্রথলিতে প্রস্রাব আটকে থাকে, তখন ব্যাক্টেরিয়ার দ্রুত বংশবৃদ্ধি ঘটতে পারে, যা ডেকে আনে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ।
দীর্ঘ সময় মূত্রথলিতে প্রস্রাব আটকে থাকে, তখন ব্যাক্টেরিয়ার দ্রুত বংশবৃদ্ধি ঘটতে পারে, যা ডেকে আনে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ। ছবি: শাটারস্টক।
৩) প্রস্রাব আটকে রাখলে শ্রোণিতলের পেশি দুর্বল হয়ে যায়। ফলে ভবিষ্যতে প্রস্রাব ধরে রাখার ক্ষেত্রে সমস্যা হয়। হাঁচি, কাশির সময়ে অজান্তেই কিছুটা প্রস্রাব বেরিয়ে যেতে পারে। ঘন ঘন মূত্রত্যাগের প্রবণতাও বাড়তে পারে।
৪) প্রস্রাব চেপে রাখলে মূত্রাশয় ফেটে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে। কাজেই কিডনি ভাল রাখতে যেমন পর্যাপ্ত জল পান করা জরুরি তেমনই প্রয়োজন, সময় মতো মূত্রত্যাগ করাও।