শীতে পা ফাটার সমস্যা নতুন কিছু নয়। শুষ্ক হাওয়ায় এই সমস্যা আরো বাড়তে থাকে, তখন খোলা স্যান্ডেলে ফাটা গোড়ালি দেখিয়ে চলা মুশকিল। শুধু ত্বকই নয়; ভিটামিন সি, ভিটামিন বি৩ ও ভিটামিন ই -র ঘাটতিও এর জন্য দায়ী।
শীতে যাদের পায়ের গোড়ালি ফাটছে, তারা ঘরোয়া পদ্ধতিতে বিশেষ যত্ন নিতে পারেন-
পেট্রোলিয়াম জেলি
পা ফাটা কমাতে সবচেয়ে ভালো কাজ করে পেট্রোলিয়াম জেলি। রাতে ঘুমানোর আগে গোড়ালিতে পুরু করে পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করুন। পাতলা মোজা পরে নিতে হবে। এতে পায়ের ত্বক আর্দ্রতা পাবে। তবে দিনের বেলায় এটা ব্যবহার করা যাবে না। এতে পায়ে ময়লা আটকে যাবে।
গরম পানি
একটি গামলায় কুসুম গরম পানি নিন। এর সঙ্গে আধা কাপ কাঁচা দুধ, এক মুঠো গোলাপের পাপড়ি, ২–৩টি নিমপাতা, ১ ফোঁটা এসেন্স অয়েল ও ২–৩ ফোঁটা জলপাই তেল মিশিয়ে নিন। তাতে পা ভিজিয়ে রাখুন। এবার ২০ মিনিট পর পা স্ক্রাব করে ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার ক্রিম লাগিয়ে নিন। দেখবেন এভাবে নিয়মিত ব্যবহার করলে পায়ের ফাটা মিলিয়ে যাবে।
অয়েল প্যাক
পায়ের শুষ্কতা কমাতে তেলের প্যাকও কার্যকর হতে পারে। বাদামের তেল ১ চা-চামচ, জলপাই তেল ১ চা-চামচ ও ক্যাস্টর অয়েল ১ চা-চামচ মিশিয়ে পায়ের গোড়ালিতে মালিশ করুন। সারা দিনে বেশ কয়েকবার অল্প করে এই তেলের প্যাকটি ব্যবহার করতে পারেন।
নিয়মিত স্ক্রাব
পায়ের নিচের মরা চামড়া দূর করতে শীতেও নিয়মিত স্ক্রাব করতে হবে। তবে স্ক্রাবের পর অবশ্যই ক্রিম ব্যবহার করুন। তা না হলে গোড়ালির চামড়া আরও বেশি শুষ্ক হয়ে যাবে ও পা ফাটবে। ১ চা-চামচ জলপাই বা নারকেল তেলের সঙ্গে ১ চা-চামচ চিনি মিশিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। এবার স্ক্রাব করতে পারেন চিনি গলে না যাওয়া পর্যন্ত। শেষে পা ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার ক্রিম ব্যবহার করে নিতে হবে।
খালি পায়ে হাঁটতে মানা
ঘরে খালি পায়ে একেবারেই হাঁটা যাবে না। এতে পায়ে ময়লা জমে বেশি। ত্বকের কমণীয়তা নষ্ট হয়। পা ফাটা কমাতে যতটা সম্ভব পা ঢাকা জুতা পরতে হবে। শরীরে পানির পরিমাণ কম থাকলে পা ফাটা শুরু হয়। তাই প্রতিদিনের খাবারে প্রচুর পানি, ফল ও প্রয়োজনীয় ভিটামিন রাখুন। ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য পা ফাটা হতে পারে বিপদের। তাই নিয়মিত পা পরিষ্কার রাখা ও ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা জরুরি।