বুড়িগঙ্গায় ওয়াটার বাস ডুবি, তিনজনের মৃত্যু

রাজধানীর কেরানীগঞ্জের তেলঘাট এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীতে বালুবোঝাই একটি বাল্কহেডের ধাক্কায় রাতে বুড়িগঙ্গা নদীতে একটি ওয়াটার বাস ডুবে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (১৬ জুলাই) রাতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এখনো বেশ কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছে। তাদের সন্ধানে রবিবার মধ্যরাত পর্যন্ত অভিযান চালান ফায়ার সার্ভিস ও কোস্ট গার্ডের ডুবুরিরা।

মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে দুজনের পরিচয় জানা গেছে। তাদের একজন আলিফ (১৪) ও অন্যজন ফাহিম (২৫)। অন্যজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে একটি সূত্র জানায়, চারজন নিহত হয়েছে এবং তিনজনকে গুরুতর অবস্থায় রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিস রবিবার রাত ১২টা পর্যন্ত তিনজনের লাশ এবং আটজনকে জীবিত উদ্ধারের কথা জানিয়েছে।

নৌ পুলিশের এসপি গৌতম কুমার জানান, ওয়াটার বাসটিতে ৪০ থেকে ৫০ জন যাত্রী ছিল।
গত রাতে ফায়ার সার্ভিস ও ডিফেন্স অধিদপ্তরের কর্মকর্তা (মিডিয়া) শাজাহান সরদার জানান, রাত সোয়া ৮টার দিকে যাত্রীবাহী ওয়াটার বাস ডুবির খবর পাই। সঙ্গে সঙ্গে সদরঘাট নদী ফায়ার স্টেশনের দুটি ও সিদ্দিকবাজার থেকে একটি ইউনিট ডুবুরিসহ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজ শুরু করে।

যাত্রীদের বেশির ভাগই সাঁতরে তীরে উঠে গেছে। এ ছাড়া নদীতে থাকা নৌকার মাঝিরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধারকাজে অংশ নেন।
মিটফোর্ড হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রশিদ উন নবী গণমাধ্যমকে জানান, গতকাল রাত ১১টা পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেছেন।

বেঁচে যাওয়া কয়েকজন যাত্রী জানায়, ওয়াটার বাসটি রাজধানীর লালকুঠি ঘাট থেকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের তেলঘাটে যাচ্ছিল। মাঝনদীতে এলে এটি বালুবোঝাই এমভি আরাবি নামের একটি বাল্কহেডের ধাক্কায় ডুবে যায়।

রবিবার রাতে হাসপাতালে আলিফের ভাই রনি সাংবাদিকদের জানান, তাঁর বাবার নাম বাবু মিয়া। তাঁরা কেরানীগঞ্জের চুককুটিয়া এলাকায় থাকেন। আলিফ সদরঘাটের একটি কাপড়ের দোকানে বিক্রয়কর্মীর কাজ করত। রবিবার সন্ধ্যায় কাজ শেষ করে ওয়াটার বাসে করে বাড়ি ফিরছিল সে। নিহত ফাহিমের বাড়ি দোহারের জয়পাড়ায়। এ ছাড়া সামিরা (১৫), মনসুর (৩৮) ও মিমি (১৯) নামের তিনজনকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সদরঘাট নৌ থানার ডিউটি অফিসার হাসান আলী গতকাল রাত সোয়া ১২টার দিকে কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।’

About reviewbd

Check Also

মাকে খুঁজছে মিরপুরে বেঁচে যাওয়া সেই ৭ মাসের শিশু হোসাইন

মিরপুরের পানিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ওপারে পাড়ি জমিয়েছেন বাবা-মা। ভাগ্যক্রমে ছেলে হোসাইন ফিরে আসলেও বেঁচে নেই …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *