প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে শুক্রবার থেকে কলকাতার বাজারে আসতে শুরু করেছে বহুল প্রতীক্ষিত বাংলাদেশের ইলিশ। তবে চলতি বছর দাম অত্যাধিক চড়া হওয়ায় পাইকারি বাজারেই বাংলাদেশের ইলিশ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন অধিকাংশ খুচরো ব্যবসায়ী। ফলে শুক্রবার দিনভর কলকাতার বেশিরভাগ খুচরা বাজারে ঘুরেও মেলেনি পদ্মার ইলিশের দেখা।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বেনাপোল সীমান্ত পার করে এখনো পর্যন্ত কলকাতার বাজারে এসেছে প্রায় ৭০ মেট্রিক টন পদ্মার ইলিশ। যার বেশিরভাগ পৌঁছেছে কলকাতা সংলগ্ন হাওড়ার পাইকারি মাছ বাজারে। শুক্রবার ভোরে এই পাইকারি বাজারে বেচাকেনা শুরু হলে দেখা যায়। চলতি বছর ৬০০ গ্রাম থেকে ৭০০ গ্রাম পদ্মার ইলিশের পাইকারি বাজারের দাম রাখা হচ্ছে ১,০০০-১,২০০ রুপি। এক কেজি বা তার ওপরে সাইজের মাছের দাম ১,৫০০-১,৬০০ রুপি। যা গেলো বছরের তুলনায় কেজিপ্রতি কমপক্ষে ৩০০ থেকে ৪০০ রুপি বেশি। খুচরা বাজারে এই মাছ বিক্রি হবে আরো অন্তত ২০০ থেকে ৩০০ রুপি বাড়তি দামে।
এদিকে কলকাতার বাজার ইতিমধ্যেই দীঘা, ডায়মন্ড হারবার, মিয়ানমার এবং গুজরাটের ইলিশে ছয়লাব। খুচরা বাজারেই এসব ইলিশের এক কেজি বা তার বেশি ওজনের ইলিশের দাম রাখা হচ্ছে ১০০০/১২০০ রুপি। স্বাভাবিকভাবেই আমজনতা পকেট থেকে অতিরিক্ত রুপি খরচ করে পদ্মা ইলিশ কতটা কিনবে তাই নিয়েই আশঙ্কা প্রকাশ করছে ব্যবসায়ীরা।
খুচরা বাজারে চাহিদা থাকায় হাওড়ার পাইকারি মাছ বাজারে পদ্মার ইলিশ কিনতে এসেছিলেন খুচরা মাছ ব্যবসায়ী তপন দাস। তিনি বলেন, গত বছরের থেকে মাছের দাম অত্যন্ত বেশি। আমরা অপেক্ষা করছি যদি দাম কিছুটা কমে। এত দামে মাছ কিনে আমরা বিক্রি করে লাভ করতে পারব না।
যদিও ভারতের ফিস ইম্পোর্টার অ্যাসোসিয়েশনের, সম্পাদক, সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদ বলেন প্রথম দিন তাই মাছের দাম কিছুটা চড়া থাকবে এটাই স্বাভাবিক। ধীরে ধীরে মাছের দাম কমবে তবে খুব কমবে এমন আশ্বাস আমরা দিতে পারছি না। বাংলাদেশ সরকার ৩,৯৫০ মেট্রিক টন মাছ আমদানির অনুমতি দিলেও এত কম সময়ের মধ্যে আমরা ১ হাজার মেট্রিক টন মাছ আনতে পারব কিনা সেটাই সন্দেহ। আমরা বাংলাদেশ সরকারকে অনুরোধ করছি আমাদের মাছ আমদানির সময় কিছুটা বাড়িয়ে দেওয়া হোক। নয়তো মাছের পরিমাণ কম থাকলে দাম বাড়তি থাকবে।