শীত মানেই কাঁচা-পাকা টমেটো। খেতেও দারুণ টমেটোর তৈরি খাবারগুলো। যদিও টমেটো সব মৌসুমেই কম বেশি পাওয়া যায়। তবে কাঁচা টমেটো শীত ছাড়া পাওয়া একটু বেশিই কষ্টকর। জানেন কি, কাঁচা টমেটো পুষ্টিগুণে পরিপূর্ণ।
তবে দেখা যায়, সবাই পাকা টমেটো বেশি বেশি কিনলেও কাঁচা টমেটোর দিকে নজর যায় খুব কমই। কাঁচা টমেটোর প্রচুর স্বাস্থ্যগত উপকারিতা সম্পর্কে জানলে খেতে একদমই ভুল করবেন না। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক কাঁচা টমেটোর গুণাগুণ সম্পর্কে-
ডায়াবেটিসের প্রকোপ কমে
রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রেখে টাইপ ১ এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে টমেটোর কোনো বিকল্প হয় না বললেই চলে। আসলে এতে উপস্থিত ফাইবার এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
ক্যান্সার প্রতিরোধক
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে টমেটোতে থাকা লাইকোপেন প্রস্টেট, কলোরেকটাল ও স্টমাক ক্যান্সাররোধে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আসলে লাইকোপেন হলো একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা কোষের বিভাজন ঠিকমতো হতে সাহায্য করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ক্যান্সার সেলের জন্ম নেয়ার আশঙ্কা কমে। আর যদি একবার ক্যান্সার কোষ জন্ম নিয়েও নেয়, তাহলেও যাতে তার বৃদ্ধি দ্রুত গতিতে না হয়, সেদিকে টমেটো খেয়াল রাখে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই এই মারণ রোগ শরীরকে ক্ষয় করার সুযোগ পায় না।
হাড় মজবুত
ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন-কে সমৃদ্ধি হওয়ার কারণে হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে টমেটোর কোনো বিকল্প হয় না বললেই চলে। তাই তো বুড়ো বয়সে অস্টিওপোরোসিসের মতো রোগের হাত থেকে বাঁচতে এখন থেকেই টমেটো খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন উপকার পাবেন।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ঘাটতি দূর
কখনো খাবারের সঙ্গে তো কখনো অন্যভাবে আমাদের শরীরে টক্সিক উপাদানের প্রবেশ ঘটে। এই ক্ষতিকারক উপাদানগুলো যাতে শরীরের কোনো ক্ষতি করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। সেই সঙ্গে একাধিক রোগের হাত থেকেও রক্ষা করে। টমেটো যেহেতু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, তাই শরীরকে সুস্থ রাখতে নিয়মিত কাঁচা টমেটো খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন অনেক চিকিৎসক।
হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়ায়
টমেটোয় উপস্থিত ভিটামিন বি ও পটাশিয়াম, শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। সেই সঙ্গে রক্তচাপকে স্বাভাবিক রাখতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই হার্টের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা হ্রাস পায়। যাদের পরিবারে হাই কোলেস্টেরল ও ব্লাড প্রেসার রোগের ইতিহাস রয়েছে তারা আজ থেকেই কাঁচা টমেটো খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন আয়ু বাড়বেই বাড়বে।
দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটে
টমেটোয় উপস্থিত লাইকোপেন, লুটেন এবং বিটা-ক্যারোটিন দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটানোর পাশাপাশি ছানির মতো রোগকে দূরে রাখতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
কনস্টিপেশনের মতো সমস্যা মেটে
প্রতিদিন সকালে প্রকৃতির ডাক মানেই জ্বালা-যন্ত্রণা-কষ্ট? তাহলে তো আপনাকে টমেটো খেতেই হবে। কারণ এতে উপস্থিত ফাইবার কনস্টিপেশনের সমস্যা দূর করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে হজম ক্ষমতার উন্নতিতে এবং আরও নানা ধরনের পেটের রোগের উপশমেও বিশেষ ভূমিকা নেয়।