চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজে’লায় বিয়ের দাবিতে পাঁচ দিন ধরে প্রে’মিকের বাড়িতে অনশন করেছে ৮ম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছা’ত্রী। ৯ম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্র নকিব ও তার পরিবার এর আগেই বাড়িতে তালা মে’রে গাঁ ঢাকা দিয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়।
রোববার (২৮ মা’র্চ) উপজে’লার বড়কুল পূর্ব ইউনিয়নের দিগছাইল গ্রামের বাড়ি থেকে ওই ছা’ত্রীকে উ’দ্ধার করা হয়েছে। সুইটি পাশ্ববর্তী সোনাইমুড়ী গ্রামের মে’য়ে। পরে ওই ছা’ত্রী প্রে’মিকের বি’রুদ্ধে একটি ধ’’ র্ষ’ ণ মা’মলা দায়ের করে। তারা উভ’য়েই বেঁলচো উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
অনশনকারী ছা’ত্রী অ’ভিযোগ করে বলেন,’ওর সাথে আমা’র ৪ মাসের রিলেশন। সে আমা’র মা’থা ছুঁয়ে কসম কে’টে আমাকে বলেছে বিয়ে এবং সংসার করবে। ‘এই বলে সে আমাকে সুকৌশলে ধ’’ র্ষ’ ণ করেছে। এখন আমি তাকে বিয়ে করতে না পারলে আত্নহ’ত্যা ছাড়া কোন উপায় নেই’।
অনশনকারী ছা’ত্রী জানায়, গত ১৮ মা’র্চ একই বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ওই ছাত্রের সঙ্গে চট্টগ্রামে গিয়ে একটি হোটেলে পাঁচ দিন ছিল তারা। সেখান থেকে ওই ছাত্রের মামা তাদের দুইজনকে বিয়ে দেবে বলে হাজীগঞ্জ বাজারে নিয়ে আসেন। কিন্তু হাজীগঞ্জ বাজারে আসার পর ওই কি’শোর প্রে’মিক ও তার মামা ছা’ত্রীকে একা রেখে পালিয়ে যায়। এরপর থেকে মেয়েটি প্রতিদিন সকালে তার প্রে’মিকের বাড়িতে গিয়ে বাড়ির বারান্দায় বসে অনশন করে।
অনশনের প্রথম দিন থেকেই ওই কি’শোরের মাসহ স্বজনরা পালিয়ে যায়। তারপরও নাছোড়বান্দা ছা’ত্রী ওই বাড়িতে টানা পাঁচ দিন অনশন করে। খবর পেয়ে পু’লিশ তাকে উ’দ্ধার করে থা’নায় নিয়ে যায়।
তবে এ ঘটনার বিষয়ে গত ২১ মা’র্চ থেকে ওই কি’শোর প্রে’মিক নি’খোঁজ বলে তার মা হাজীগঞ্জ থা’নায় একটি নি’খোঁজ ডায়েরি করেন।
স্থানীয়রা জানান, ‘মে’য়েটির অনশনের ঘটনায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও মেম্বার ছুঁটে গিয়ে জিজ্ঞেস করলে মে’য়েটি বলে যেই ছে’লে আমাকে বিয়ের প্রলভোনে ধ’’ র্ষ’ ণ করেছে তাকে ছাড়া আমি উঠবো না, নতুবা আমি আত্নহ’ত্যা করবো।’
মে’য়ের বোন লিপি জানায়, ‘বোন যেহেতু এখন আর বাড়িতে উঠতে পারবে না। আর কোথাও যাওয়ার পথও খোলা নাই। তাই যেই ছে’লের সাথে আমা’র বোন গেছে ওই ছে’লেকেই নিতে হবে।
ছে’লের মামা সোহাগ জানায়, মে’য়েটিকে দিয়ে তার বড় বোন লেলিয়ে দিয়ে আমাদের মানহানির চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।
হাজীগঞ্জ থা’নার ওসি মো. হারুনুর রশীদ বলেন, ধ’’ র্ষ’ ণের মা’মলা নেয়া হয়েছে। মেয়েটির অ’ভিযোগের ভিত্তিতে ত’দন্ত কাজ চলছে।