বাংলাদেশের মোটরসাইকেল প্রেমীদের কাছে ইয়ামাহা অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি ব্র্যান্ড। এই ব্র্যান্ডের আরওয়ানএম হচ্ছে প্যাশনেট বাইকারদের কাছে ড্রিম বাইক। এছাড়া মোটোজিপি, ডাব্লিউএসবিকে এর মতো মোটরসাইকেল রেসিং এর আন্তর্জাতিক আসর এখন বাংলাদেশের বাইকারদের কাছে তুমুল জনপ্রিয়। এর মধ্যে ইয়মাহা ওয়াইজেডএফ-আরওয়ানএম বা আরওয়ানএম মডেলের ১০০০ সিসির মোটরসাইকেলটি সারাবিশ্বেই তুমুল জনপ্রিয়।
আরওয়ানএম বাইকটিকে মোটরসাইকেলপ্রেমীদের স্বপ্নের বাইকও বলা হয়ে থাকে। মোটোজিপি, ডাব্লিউএসবিকের মতো মোটরসাইকেল রেসিংয়ের আন্তর্জাতিক আসর এখন বাংলাদেশের বাইকারদের কাছেও তুমুল জনপ্রিয়। সেই জনপ্রিয়তা এবং বাইকারদের চাহিদার কথা মাথায় রেখেই বাইকটি বাংলাদেশে তাদের টেকনিক্যাল কোলাবোরেটেড পার্টনার এসিআই মোটরসকে সম্প্রতি উপহার হিসেবে পাঠিয়েছে ইয়ামাহা জাপান।
তবে বাংলাদেশে এত উচ্চ সিসির মোটরসাইকেলের অনুমোদন না থাকায় বাইকটি শুধু প্রদর্শনীর জন্য ব্যবহার করা হবে। গত ৭ দশক ধরে মটোজিপি, ডাব্লিউএসবিকের মতো রেসিং ট্র্যাকে ঝড় তোলা ইয়ামাহা এমওয়ানের কনসেপ্টে তৈরি ১০০০ সিসি ইঞ্জিন ক্যাপাসিটির আরওয়ানএম বাইকটিতে রয়েছে কার্বনের তৈরি বডি কাউল, ইলেকট্রনিক কন্ট্রোল টেকনোলজি এবং ইলেকট্রনিক রেসিং সাসপেনশন।
বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে একসঙ্গে কাজ করবে স্ট্যান্ডার চার্টার্ড ব্যাংক ও বিডা। এ ছাড়া এতে ব্যবহার করা হয়েছে নতুন Öhlins NPX গ্যাস ফোর্ক। বাইকটির ফোর স্ট্রোক লিকুইড কুলড ডিওএইচসি ইঞ্জিনে রয়েছে ফরওয়ার্ড-ইনক্লাইন্ড প্যারালাল ফোর- সিলিন্ডার, ফোর-ভালভ। বাইকটির কম্প্রেসর রেসিও ১৩.০:১, হাইট ১১৫০ মিলিমিটার, ডিসপ্লেসমেন্ট ৯৯৮ সিসি।
এর সর্বোচ্চ শক্তি- 147.1 kW @ 13,500 rpm এবং ম্যাক্সিমাম টর্ক- 112.4 Nm @ 11,500 rpm।, ক্লাচ টাইপ- ওয়েট, মাল্টিপল ডিস্ক এবং ইলেকট্রিক স্টার্ট সিস্টেম। বাইকটির ফুয়েল কনজামশন- ৭.২ লিটার/ ১০০ কি.মি.।
মোটরসাইকেল প্রেমীদের মধ্যে খুব কমই আছেন যারা সুপারবাইক পছন্দ করেন না। টিভি পর্দায় বা রেসিং ট্র্যাকে দেখা সুপারবাইক সামনা-সামনি দেখতে কার না ইচ্ছে করে। আরওয়ানএম তেমনই একটি সুপার স্পোর্টসবাইক, যা অনেক বাইকারেরই স্বপ্নের বাইক।