কুড়িগ্রামের ভূরু’ঙ্গামারীতে এক কৃষকের জাঙলায় একই থোকায় (গিটে) ৩৮ লাউ ধরেছে। বি’ষয়টি অবাক করে দিয়েছে এলাকাবাসীসহ উপজে’লা কৃষি বিভাগকেও। তাই এরকম ফলনের ছবি ও তথ্য কৃষি গবেষণা ইন্স’টিটিউটে পাঠানো হয় বলে জানান উ’পজে’লা কৃষি ক’র্মকর্তা আসাদুজ্জামান।
ভূরুঙ্গামারী উপজে’লার বলদিয়া ইউনিয়নের পূর্ব কেদার গ্রামের কৃষক আব্দুস সালামের বাড়ির পেছনে লাগানো লা’উগাছের একটি গিটে (থোকায়) ছোট বড় মিলে ৩৮টি লাউ ধরে। এই দৃশ্য দেখার জন্য উৎসুক জনতার ঢল নামে। কৃষক আব্দুস সালামের স্ত্রী জয়নব বেগম বলেন, আমি নিজে এ লাউ গাছ লা’গাই।
ধীরে ধীরে গাছ বড় ও প’রিণত হলে প্রথম দফায় অর্ধশত লাউ ধরে। সেই লাউ আমরা নিজেরাও খেয়েছি এবং বি’ক্রিও করেছি। পরে একটি থো’কায় (গিটে) অসংখ্য ফুল আসে। সেই ফুল থেকে লাউ বেরিয়ে আসতে থাকে। এখন থো’কার মতো করে লাউ ঝুলছে। এতগুলো লাউ ধরবে আ’মরা ভাবতেও পারিনি।
এলাকা’বাসীরা জানান, লোকমুখে শোনার পর লাউগুলো দেখতে ওই বাড়িতে বহু মা’নুষের আনাগোনা বেড়ে যায়। অনেকেই গুণে দেখেন, একটি গিটে ছো’টবড় ৩৮টি লাউ ধরেছে। যার ২৫টি লাউ তুলনামূলক একটু বড়। এ ব্যাপারে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান জানান, আমি নিজে স্পটে গিয়ে ওই লা’উগুলো দেখেছি।
প্রথম দিকে ৪০টি লাউ ছিল। এখন লাউ আছে ৩৫টি। ৪টি লাউ বড় এগুলোর ওজন ৫শ’ থেকে ৭শ’ গ্রাম হবে। ছো’টগুলোর ওজন ৫০ গ্রাম থেকে শুরু করে ২শ’ গ্রাম পর্যন্ত হবে। তিনি আরও বলেন, এখনও ঝো’পার ভেতর থেকে ছোট ছোট লাউ বের হচ্ছে।
অ’স্বাভাবিক এই ফলনের বিষয়ে বৈজ্ঞানিক গবেষণার জন্য ছবি তুলে জে’লা কৃ’ষি সম্প্রসারণ দপ্তর ও বাংলাদেশ কৃষি গ’বেষণা ইন্স’টিটিউটে পাঠানো হয়। জিনগত সমস্যা বা অ’নিয়মিত ফল ধারণে এরূপ হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে অধিদপ্তর জানিয়েছে। এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম জে’লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মঞ্জুরুল ইসলাম জানান, মূলত: জিনগত সম’স্যার কারণে এরূপ হয়ে থাকতে পারে।