ক’রো’নাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ শুরুর পর থেকে বিভিন্ন দেশে শিশুদেরও আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। এই ভাইরাসে আক্রান্ত শিশুর মধ্যে প্রথমদিকে তেমন হালকা লক্ষণ দেখা গেলেও গুরুত্ব না দিলে পরবর্তীতে এটি মারাত্মক হতে পারে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তাই শিশুর ক’রো’নার লক্ষণগুলো সম্পর্কে বাবা-মাকে সচেতন থাকতে হবে এবং প্রয়োজনে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে। চিকিৎসকদের মতে, শিশুদের মধ্যে ক’রো’নার অনেক ধরনের লক্ষণ থাকতে পারে। এরমধ্যে আছে…
জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট, গলা ব্যাথা, নাক দিয়ে সর্দি বের হওয়াসহ ঠান্ডা লাগা, সর্দিজ্বর, পেশীতে ব্যাথা, মাথা ব্যাথা,
আট বছরের বেশি বয়সী শিশুদের খাবারের স্বাদ ও ঘ্রাণ না পাওয়া, বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া, ডায়রিয়া, ক্লান্তি,
শিশুর ক’রোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কয়েক সপ্তাহ পরেও শরীরে জ্বালাপোড়া হলে এটি ভালো লক্ষণ নয়। এমন সমস্যাকে শিশুদের ইনফ্ল্যামেটরি সিনড্রোম বলে। তবে এই লক্ষণগুলো ক’রো’নাভাইরাসের সঙ্গে কীভাবে সম্পর্কিত তা নিয়ে এখনো কাজ করছেন চিকিৎসকরা। ইনফ্ল্যামেটরি সিনড্রোমের লক্ষণগুলোর মধ্যে আছে….
জ্বর, পেটে ব্যাথা, বমি বা ডায়রিয়া, র্যাশ, ঘাড় ব্যাথা, চোখ লাল হওয়া, খুব ক্লান্ত অনুভব করা, ঠোঁট লাল হওয়া ও ফেটে যাওয়া, হাত পা ফুলে যাওয়া,
শিশু যদি ইনফ্ল্যামেটরি সিনড্রোমে আক্রান্ত হয় তাহলে তার শ্বাসকষ্ট হতে পারে, বুকে ব্যাথা বা চাপ অনুভব হতে পারে, ঠোঁট ও মুখে নীলচে ভাব দেখা দিতে পারে অথবা জেগে থাকতে সমস্যা হতে পারে। এসব লক্ষণগুলো অবশ্যই অবহেলা করবেন না। এমন অবস্থায় শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
শিশুর ক’রো’নার লক্ষণ দেখা গেলে করণীয়
শিশুর অবস্থা দেখে, শুনে এবং পরীক্ষা করে চিকিৎসক সিদ্ধান্ত নেবেন পরবর্তী করণীয় কি হতে পারে। শিশুকে বাসায় রেখে চিকিৎসা দেওয়া হবে কি না, নাকি ভিডিও বা টেলিচিকিৎসা কিংবা হাসপাতালে নিতে হবে সেটা চিকিৎসকই নির্ধারণ করে দেবেন।
আক্রান্ত শিশু থেকে বাড়ির অন্যান্য সদস্যদের যেভাবে আলাদা রাখবেন
পরিবারে কোন শিশু ক’রো’না আক্রান্ত হলে পরীক্ষা না করে অন্যান্য সদস্যদের বাড়ির বাইরে না বের হওয়ার পরামর্শ চিকিৎসকদের। ক’রো’না আক্রান্ত শিশুর কাছ থেকে বাড়ির অন্যান্য সদস্য ও পোষা প্রাণীকে যতদূর সম্ভব আলাদা রাখার চেষ্টা করুন। পরিবারের শুধুমাত্র একজন সদস্য আক্রান্ত শিশুর শুশ্রুষা করুন।
শিশুর বয়স দুই বছরের বেশি হলে সেবিকা রুমে থাকার সময় অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করুন। শিশুর মুখে মাস্ক দিয়ে দীর্ঘসময় একা ছেড়ে দিবেন না। শিশু যদি পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে একই বাথরুম শেয়ার করে তাহলে তার ব্যবহারের পর অবশ্যই পুরো বাথরুম স্যানিটাইজড করুন। পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা অবশ্যই একটি নির্দিষ্ট সময় পর পর সাবান দিয়ে হাত ধুবেন।
তবে কোন শিশু ক’রো’না আক্রান্ত হলে পরিবারের সদস্যদের ভয় পেলে চলবে না। ১৮ বছরের বেশি বয়সীদের জন্য এখন ক’রো’নার টিকা দেয়া হচ্ছে। এমনকি শিশুদের ক’রো’নার টিকার ট্রায়ালও শুরু হয়েছে। যতদ্রুত সম্ভব সবাই ক’রো’নার টিকা গ্রহণ করাই সবচেয়ে উত্তম।
সূত্র: আইয়ানসলাইফ ডটকম।