নিমফোম্যানিয়া বা স্যাটেরিয়াসিস রোগে আক্রান্ত রোগীরা অস্বাভাবিক মাত্রায় শারীরিক চাহিদা পূরণের জন্য একাধিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এমনকি এই রোগের কারণে স্বামী থাকা কালেও তার অনুপস্থিতে একাধিক পুরুষের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন অনেক নারী। ঠিক একই কারণে সুযোগ পেলেই একাধিক নারীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন অনেক পুরুষ।
সম্প্রতি এমন কয়েকটি প্রমাণ ‘ইনস্টিটিউট অব সাইকায়াট্রি’ চিকিৎসকদের হাতে এসেছে। তারা এও বলছেন, অনেক সময় এই শারীরিক চাহিদা পূরণের সক্ষমতাকে আরও বাড়িয়ে তোলার জন্য বিভিন্ন রকমের মাদকও সেবন করেন তারা।
অতিরিক্ত বা অস্বাভাবিক এই কামাসক্তি সমাজের কাছে ‘ব্যাভিচার’ বা ‘চারিত্রিক দোষ’ বলে বিবেচিত হলেও মনস্তত্ত্ববিদ বা মনরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে এটি একটি মানসিক ব্যাধি, যার নাম নিমফোম্যানিয়া বা স্যাটেরিয়াসিস।
মার্কিন মনরোগ বিশেষজ্ঞ টিমোথি জে লেগ-এর একটি গবেষণাপত্রের তথ্য অনুযায়ী, আমেরিকার প্রায় তিন কোটি মানুষ এই রোগে আক্রান্ত। কিন্তু এখন পর্যন্ত এই রোগে আক্রান্ত হলে সেটা কিভাবে শনাক্ত করা যাবে সে বিষয়ে আমেরিকান সাইকোলজিকাল অ্যাসোসিয়েশন এর গবেষকরা এখনো কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেননি।
এছাড়াও কেন এই রোগ মানুষের মনে বাসা বাঁধে আর অস্বাভাবিক বা বিকৃত যৌ’ন আসক্তি তৈরি করে সে সম্পর্কেও তেমন কোনো কারণ নির্দিষ্ট করে বলতে পারেননি তারা।
সূত্র: এই সময়
আরো পড়ুন
শরীরের যেসব জায়গায় ভুলেও পারফিউম দেবেন না
গরমকালে পারফিউম ছাড়া বাইরে বের হওয়ার কথা ভাবতেও পারেন না অনেকে! সাজগোজের পর পারফিউম না মাখলে কি হয়? তবে পারফিউম দিতে গিয়ে অনেকেই ভুল করে ফেলেন, তারা শরীরের ভুল জায়গায় পারফিউম দেন, যাতে উল্টো ক্ষতিই হতে পারে। জেনে নিন শরীরের যেসব জায়গায় পারফিউম না দেওয়াই ভালো-
১) চোখ
এটা আসলে বলে দিতে হয় না। চোখে পারফিউম দেওয়ার মতো বোকামি করবে না কেউই, কিন্তু ভুলেও যদি চোখে পারফিউম চলে যায় তাহলে দ্রুত অনেক বেশি পানি দিয়ে চোখ ধুয়ে ফেলতে হবে। কারণ পারফিউমে ৯৫ শতাংশ পর্যন্ত অ্যালকোহল বা স্পিরিট থাকতে পারে, এতে চোখে জ্বলুনি ও চুলকানি হতে পারে।
২) চুল
চুলে যে কোনো গন্ধ–ভালো বা খারাপ- অনেক সময় ধরে রয়ে যায়। এ কারণে চুলে পারফিউম দিলে অনেকটা সময় সুগন্ধ রয়ে যাবে, তা ভাবতে পারেন আপনি। আসলে কিন্তু পারফিউমে অ্যালকোহল থাকলে তা চুলের ক্ষতিই করতে পারে। বিশেষ করে পারফিউমটা সরাসরি তো চুলে স্প্রে করাই যাবে না। বরং হেয়ারব্রাশে পারফিউম স্প্রে করে তা দিয়ে আলতো করে চুল আঁচড়ে নিতে পারেন।
৩) হাত
হাতের কবজি অনেকেই পারফিউম স্প্রে করেন এবং দুহাতের কব্জি এক করে ঘষে নেন। এতে সারাদিনই শরীরে সুগন্ধি থাকে। কিন্তু কব্জি থেকে যেন এই পারফিউম হাতে না লেগে যায়। কারণ তাতে ত্বক শুষ্ক হতে পারে এমনকি ত্বক ফেটেও যেতে পারে। আর হাত থেকে চোখে পারফিউম গেলে তাতেও সমস্যা হতে পারে।
৪) বগল
ডিওডোরেন্ট বগলে দেওয়া গেলেও পারফিউম সেখানে স্প্রে করবেন না। কারণ বগলে থাকা ঘাম গ্রন্থিতে জ্বালাপোড়া তৈরি করতে পারে তা।
৫) যৌ’নাঙ্গ
ল’জ্জাস্থানে পারফিউম দিলে প্রদাহ, জ্বালাপোড়া এমনকি ব্যথাও হতে পারে। তাই সেখানে পারফিউম ব্যবহার করা যাবে না।
তাহলে পারফিউম দেবেন কোথায়?
পালস পয়েন্টে পারফিউম দেওয়া সবচেয়ে ভালো, যেমন গলা, কব্জি ও হাঁটুর পেছনের দিকে। এসব জায়গায় ত্বকের তাপ বেশি থাকে বলে পারফিউম ত্বকের ক্ষতি করবে না। সূত্র: রিডার্স ডাইজেস্ট