যারা মাসের বাজার একবারে করেন তাদের অনেক সময়ই ডীপ ফ্রিজে কাঁচা মাছ রাখতে হয়। যার ফলাফল কিছুদিন ফ্রিজে মাছ রেখে দিলেই মাছের স্বাদ পুরোপুরি ন’ষ্ট হয়ে যায়। খেতে শুকনো লাগে এবং গন্ধ বেশি লাগে।বেশীদিন রেখে দিলে মাছ খাওয়াই যায় না, ফে’লে দিতে হয়। কিন্তু এই স’মস্যার রয়েছে খুবই সহজ ছোট্ট একটি সমাধান।আপনি চাইলেই মাছের তাজা ভাব ফিরিয়ে আনতে পারেন খুব সহজে। জানতে চান কীভাবে?
মাছের তাজা স্বাদ পুনরায় ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে দুধ। প্রথমে ফ্রিজ থেকে মাছ বের করে ঠাণ্ডা ছাড়িয়ে নিন। এরপর মাছের পিসগুলো একটি বড় বাটিতে দুধ মিশ্রিত পানিতে ভিজিয়ে রাখু’ন প্রায় ৩০ মিনিট। তারপর স্বা’ভাবিক ভাবে ধুয়ে রান্না করুন।
দেখবেন মাছের তাজা স্বাদ ফি’রে এসেছে এবং আঁশটে গন্ধও নেই একেবারেই। দারুণ, তাই না? মাছে-ভাতে বাঙালি বলা হয় আমাদের। প্রতি বেলাতেই খাবারে মাছ আমাদের চাই-ই চাই। মাছে অনেক পুষ্টি, ভিটামিন আছে বলেই জানি। কিন্তু জা’নেন কি মাছে ক্ষ’তিকর উপাদানও আছে?
মাছ খাওয়ার উপকারিতা
স্ট্রোক প্র’তিরো’ধ করে : গবেষণায় দেখা গেছে, যারা অন্ত’ত সপ্তাহে একদিন মাছ খান তাদের স্ট্রোক হওয়ার প্র’বণতা ১৩ শতাংশ কম, যারা মাছ একবারেই খান না তাদের তুলনায়।
যুক্তরাষ্ট্রের হার্ট অ্যাসোসিয়েশন, সপ্তাহে অন্ত’ত দুই দিন মাছ খাওয়ার পরাম’র্শ দিয়েছেন। কারণ মাছের মধ্যে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড থাকে যা হৃদপি-ের সুর’ক্ষা করে।
ডায়াবেটিসের বি’রুদ্ধে কাজ করে : চর্বি জাতীয় মাছ ওমেগা-৩ ফ্যাটের বিরাট উৎস। ওমেগা-৩ কার্ডিওভ্যাসকুলারের সু’স্থ্যতার জন্য কাজ করে। তাছাড়া, বাত, ডায়াবেটিস, মা’নসিক চা’প এবং কিছু ক্যানসারের বি’রুদ্ধে কাজ করে।
সাধারণত ঠাণ্ডা পানির মাছে বেশি ওমেগা-৩ থাকে। যেমন: সামুদ্রিক পোনা মাছ, হেরিং, স্যামন, ম্যাকেরল এবং ট্রাউট মাছ।
মাছ খাওয়ার ঝুঁ’কি
গর্ভকালীন জটিলতা : গর্ভবতী, প্রসূতি নারী এবং যেসব নারী মা হওয়ার চিন্তাভাবনা করছেন তাদের মেথিলমা’র্কারি আছে এমন মাছ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। এই ধ’রনের বিষাক্ত উপাদান ভ্রুণ, ছোট্ট শি’শু ও বাচ্চাদের স্নায়ুতন্ত্র গঠনে স’মস্যা করে। সাধারণত হাঙ্গর, তরোয়াল মাছ, ম্যাকরল, টাইলফিস, আলবাকোর টুনা মাছে এই ক্ষ’তিকারক উপাদান পাওয়া যায় বেশি।
চাষ করা মাছে দূষণীয় উপাদান থাকে : স্যামন মাছে উচ্চমাত্রায় কীটনাশক ও অন্যান্য বিষাক্ত উপাদান থাকে। তাই চাষ করা স্যামন মাছের পরিবর্তে প্রাকৃতিকভাবে উৎপন্ন মাছ নি’রাপদ।