তুরস্কের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল কারস প্রদেশের প্রাচীন অ্যান নগরীর একটি মসজিদে দীর্ঘ ছয় দশক পর নামাজ চালু হতে যাচ্ছে। মূলত পুনসংস্কার কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় দীর্ঘ ৬৪ বছর যাবত ঐতিহ্যবাহী ইবোল ম্যানু শাহর মসজিদে কোনো নামাজ হয়নি।
প্রাচীন অ্যান নগরীর পাহাড় পাদশেষে মসজিদটি অবস্থিত। স্থাপনাটি বিশ্ব ঐতিহ্য সংস্থা ইউনেস্কোর অন্তর্ভূক্ত। একাদ্বশ শতাব্দিতে সেলজুক সম্রাজ্যের সুলতান প্রথম মালিক শাহের নির্দেশনায় তা নির্মাণ করা হয়।
১৯ শতাব্দিতে রুশ দখলদারিত্বের সময় মসজিদটি গুদামঘর হিসেবে ব্যবহৃত হতো। আগস্ট মাসের মধ্যে তা পুনসংস্কার করে নামাজের জন্য উম্মুক্ত করার পরিকল্পনা করা হয়। সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার সহায়তায় এর কাজ এগিয়ে চলছে। সারহাত ডেভলপমেন্ট এজেন্সি মসজিদের কাজ দেখাশোনা করছে।
সেরকা এজেন্সির মহাপরিচালক ইবরাহিম তাশ দামির বলেন, ‘মসজিদ নির্মাণের কাজ এগিয়ে চলছে। আনাতোলিয়া অঞ্চলে তুরস্কের নির্মিত এটিই প্রথম মসজিদ। এ বছরের আগস্ট মাসে তাতে নামাজ চালু হবে।’
ঐতিহ্যবাহী এ মসজিদে ৬৪ বছর যাবত নামাজের কার্যক্রম বন্ধ আছে। পুনসংস্কার কাজে মসজিদের দরজা, জানালা ও মিম্বার তৈরি করা হচ্ছে। মেহরাব নির্মাণের কাজও চলছে। শিগগির মসজিদের সুন্দর দৃশ্য সবাই দেখতে পাবে।
তাছাড়া আনি নগরীর ধ্বংসাবশেষ ও প্রত্নতত্ত্ব অনুসন্ধানের কাজ অব্যাহত আছে। বিশ্বের ইতিহাসে প্রাচীন এ ধ্বংসাবেশের গুরুত্ব অপরিসীম। পাঁচ হাজার বছরের ২৩টি প্রাচীন সভ্যতার ইতিহাস অঞ্চলটি প্রত্যক্ষ করেছে। ২০১৬ সালে ১৫ জুলাই বিশ্ব ঐতিহ্য সংস্থা ইউনেস্কোর তালিকা ভূক্ত হয়।