রাজধানীর গুলশানের অভিজাত ফ্ল্যাট থেকে কলেজছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়ার রহস্যজনক মৃ’ত্যুর চাঞ্চল্য’কর ঘ’টনার পর ১০ দিন পেরিয়ে গেছে। তবে এখনো ধ’রাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন দেশজুড়ে আলোচিত এ প’রকীয়া কাহিনীর মূল আ’সামি বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীর।
তিনি দেশে আছেন দা’বি করলেও এতদিনে তাকে গ্রে’ফতার করতে পারেনি পু’লিশ। অ’ভিযুক্ত আনভীরকে গ্রে’ফতার কিংবা জি’জ্ঞাসাবা’দ না করায় বিভিন্ন মহলে নানা জল্পনা-কল্পনা হচ্ছে। খোদ মুনিয়ার বোন ও মা’মলার বাদী নুসরাত জাহান তানিয়াও ক্ষো’ভ প্র’কাশ করেছেন।
টাকা ও ক্ষ’মতার জো’রে এবারো আনভীর পার পেয়ে গেলে সাধারণ জনগণের মধ্যে নেতিবাচক বার্তা পৌঁছাবে বলেও মনে করছেন অনেকে। অন্যদিকে মা’মলার গতিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত ও প্রধান আ’সামিকে র’ক্ষা করতে ভিকটিমের বোন ও মা’মলার বাদী নুসরাতকে বি’তর্কিত ও ক’লঙ্কিত করতে একটি কুচ’ক্রী মহল অ’পচে’ষ্টা চালাচ্ছে।
বরগুনার আলোচিত মিন্নির মতো নুসরাতের পরিণতি হতে পারে বলে অপপ্র’চারে লি’প্ত হয়েছে। নুসরাত ও তার স্বামীর জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে গুলশানের ওই ফ্ল্যাটটি ভাড়া নেয়ার কারণে তারা ফেঁ’সে যেতে পারেন। অ’জ্ঞাত অনলাইনের মাধ্যমে এমন প্রপাগাণ্ডা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছ’ড়িয়ে দেয়া হচ্ছে।
তবে সূত্র বলছে, বসুন্ধরা এমডি আনভীরকে র’ক্ষায় এটি অ’পকৌশল। একই উদ্দেশ্যে মুনিয়ার নিষ্ক্রিয় ভাইকে ব্যবহার করে হ’ত্যা মা’মলা দা’য়েরে চে’ষ্টা ও ভিকটিম এবং তার বোনের চরিত্র হননের অপচে’ষ্টায় একই কুচ’ক্রী মহল জ’ড়িত।
মুনিয়ার মৃ’ত্যুর ঘ’টনায় তার প্রে;মিকা আনভীরের দায়কে আ’ড়াল করতেই নেপথ্যে থেকে বসুন্ধরা গ্রুপ অপ্র’চার ও ষড়য’ন্ত্রে লি’প্ত রয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এদিকে মুনিয়ার মতো ২১ বছরের তরুণীর এমন মর্মান্তিক মৃ’ত্যুর ঘ’টনায় জ’ড়িত বসুন্ধরা এমডি সায়েম সোবহান আনভীরসহ জড়িতদের বি’চারের দা’বিতে ফুঁসে উঠছে কুমিল্লা।
বুধবার সেখানে বিশাল মানবব’ন্ধনে অংশ নিয়ে ঘা’তকের বি’চার দা’বি করেন স্থানীয় এমপি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার। ধীরে ধীরে এ আন্দোলন ক’ঠোর কর্মসূচির দিকে যেতে পারে বলে জানা গেছে। একই বি’চারের দা’বিতে ঢাকায়ও নামতে পারেন নারী সংগঠনগুলো ও মু’ক্তিযো’দ্ধা সংসদ স’ন্তান কমান্ডসহ সচেতন মহল।
মুনিয়ার হ’ত্যা কিংবা প্র’রোচনার ঘ’টনায় ভিকটিমের প্রে;মিকা আনভীরের ক’ঠোর বি’চারের দা’বিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ঝড় তুলেছেন বিবেকবান নেটিজেনরা। জানতে চাইলে ডিএমপির গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার সুদীপ চক্রবর্তী বলেন, মুনিয়ার মৃ’ত্যুর ঘ’টনায় স’ন্দেহজনক আ’সামিদের প্রয়োজনে জে’রা করবে পু’লিশ। অনেককে নজরদারিতে রাখার চে’ষ্টা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, কলেজশিক্ষার্থী মুনিয়া তার ডায়েরিতে তাদের স’ম্পর্ক, স’ম্পর্কের সামাজিক স্বীকৃতিতে বা’ধা, অ’ভিযুক্তের স’ঙ্গে তার সুখী দাম্পত্য জীবনের প্রত্যাশা ও পরিবারের বা’ধার বিষয়ে লিখে গেছেন। ডায়েরিগুলোতে চরম হ’তাশার বর্ণনা রয়েছে, যা মা’মলাটাকে প্রতিষ্ঠিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে স্প’র্শকাতর মা’মলাটির ত’দন্ত হচ্ছে।
মুনিয়ার লা’শ উ’দ্ধারের পাঁচ দিন পর হ’ঠাৎ গত রবিবার আশিকুর রহমান সবুজ ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আ’দালতে হুইপপুত্র শারুনের বি’রুদ্ধে হ’ত্যা মা’মলার আবেদন নিয়ে যান। মহানগর হাকিম মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়া আবেদনটি নিলেও মুনিয়ার বোনের করা প্র’রোচনার মা’মলার ত’দন্ত চলায় আপাতত এটির কার্যকারিতা স্থগিত রাখেন আ’দালত।
এর আগে ঘ’টনার দিন রাতেই গুলশান থা’নায় প্র’রোচনার মা’মলায় মুনিয়ার বোন নুসরাত জাহান তানিয়া আ’সামি করেন আনভীরকে। সেই মা’মলায় বা’দী নুসরাত অ’ভিযোগ করেন, বসুন্ধরার এমডি আনভীর ‘বিয়ের প্র’লোভন’ দেখিয়ে মুনিয়ার সঙ্গে স’ম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন। তাকে ওই বাসায় রেখেছিলেন। কিন্তু বিয়ে না করে তিনি উল্টো ‘হু’মকি’ দেয়ায় মুনিয়া নিজের জীবন করেন।
জানাগেছে বহুল আলোচিত মুনিয়ার লা’শ উ’দ্ধার ঘ’টনায় থা’না পু’লিশের পাশাপাশি ছায়া ত’দন্ত করছে পু’লিশের অ’পরাধ ত’দন্ত বিভাগসহ (সিআইডি) একাধিক সংস্থা। ত’দন্তে মুনিয়ার মৃ’ত্যুর স’ঙ্গে পারিবারিক বি’রোধ, সম্পত্তিগত বি’রোধসহ নানা বিষয়ের সম্পৃক্ততা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
একই স’ঙ্গে মুনিয়া ও নুসরাতের কল রেকর্ড (সিডিআর)সহ অন্যান্য ত’থ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করছে পু’লিশ। এ মৃ’ত্যুর স’ঙ্গে কার কার সম্পৃক্ততা আসতে পারে সেগুলোও খতিয়ে দেখছে।
মুনিয়ার মৃ’ত্যুর ঘ’টনায় গত ২৬ এপ্রিল গুলশান থা’নায় তার বোন নুসরাত জাহানের করা প্র’রোচনার মা’মলাটি ত’দন্ত করছেন গুলশান থা’নার ওসি আবুল হাসান। তিনি বলেন, ‘মা’মলার ত’দন্তে অনেক ত’থ্যই আসছে। সেগুলো আমরা যাচাই-বাছাই করে দেখছি।’
নাম প্র’কাশে অনিচ্ছুক ত’দন্তসংশ্লিষ্ট একজন কর্মক’র্তা জানান, এ ঘ’টনায় দু’টি মা’মলা হয়েছে। এর থেকে ধারণা হচ্ছে তাদের পরিবারের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা ও বি’শ্বাস ছিল না। তাছাড়া পৈতৃক সম্পত্তির দখল নিয়ে মোসারাত জাহান মুনিয়ার বোন নুসরাত তার একমাত্র ভাই আশিকুর রহমান সবুজ ও চাচা শাহাদাত হোসেন সেলিমসহ কয়েকজনের বি’রুদ্ধে কুমিল্লার কোতোয়ালি থা’নায় মা’মলা করেন।
নি’হত মুনিয়ার ভাই আশিকুর রহমান সবুজের দা’বি, সেই মা’মলা দিয়ে মুনিয়াকে পরিবারের সবার কাছ থেকে আলাদা করে রাখেন নুসরাত। পরিবার থেকে বিচ্ছি’ন্ন থাকায় এককভাবে মুনিয়ার ওপর নি’য়ন্ত্রণ নেন নুসরাত ও ভগ্নিপতি মিজান। তারা নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করেন মুনিয়াকে।
নিজে কুমিল্লায় ফ্ল্যাট ভাড়া করে থাকলেও মুনিয়ার থাকার জন্য মাসে প্রায় ১ লাখ টাকায় ফ্ল্যাট ভাড়া করেন গুলশানে। ওই ফ্ল্যাট ভাড়া নিতে নুসরাত ও তার স্বামী মিজানুর রহমানের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ও ঠিকানা ব্যবহার করেন।
এলাকাবাসী জানায়, নুসরাত প’রিকল্পিতভাবে মুনিয়াকে পরিবার থেকে বিচ্ছি’ন্ন করে রাখেন। বিষয়টি স্বীকার করেছেন মুনিয়ার চাচা শাহাদাত হোসেন সেলিমও। কুমিল্লার মনোহরপুর এলাকার বাসিন্দা ও ফার্মেসি ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘মনোহরপুর উজিরদীঘিরপাড় এলাকার বাসিন্দা মু’ক্তিযো’দ্ধা শফিকুর রহমান একজন সম্মানিত লোক ছিলেন।
মু’ক্তিযো’দ্ধা হিসেবে এলাকার সবাই তাকে তার পরিবারকে সম্মানের চোখেই দেখত। কিন্তু ব্যতিক্রম ছিল নুসরাত। ছাত্রজীবন থেকে তার জীবনাচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এলাকাবাসী।’ তাদের এক আত্মীয় বলেন, নুসরাত আগে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক ঝাউতলা শাখায় চাকরি করতেন।
২০১৮ সালে একজন পুরুষ সহকর্মীসহ ঝাউতলার বাসা থেকে পু’লিশ আ’টক করে নুসরাতকে। ওই অ’ভিযানে ছিলেন পু’লিশের পরিদর্শক সালাহ উদ্দিন। পু’লিশ পরিদর্শক সালাহ উদ্দিন নিজেও নুসরাতকে আ’টক ও পরে মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন কাছে।
ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের ঝাউতলা শাখার ম্যানেজারের জি’ম্মায় মুচলেকা রেখে নুসরাতকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে নুসরাত এবং ওই যুবককে আলাদা শাখায় বদলি করে ব্যাংক ক’র্র্তৃপক্ষ। সেখান থেকে চাকরি ছেড়ে নুসরাত যোগ দেন পদ্মা ব্যাংকে।
নুসরাতের ভাই শফিকুর রহমান সবুজ বলেন, ‘আমরা তিন ভাইবোনের মধ্যে মুনিয়া তৃতীয়। তার বয়স ২১ বছর। সে মাধ্যমিক শে’ষ করে মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণিতে পড়ত। আমরা পরিবারের পক্ষ থেকে পড়াশোনার জন্য যথাসাধ্য সহযোগিতা করে আসছিলাম।
ইতিমধ্যে আসামি নাজমুল করিম চৌধুরী শারুনের স’ঙ্গে আমার বোনের প’রিচয় হয়। প’রিচয়ের পর থেকে মাঝেমধ্যে আ’সামি শারুনের স’ঙ্গে কথাবার্তা ও দেখা-সাক্ষাৎ হতো মুনিয়ার। আমার বোনকে হ’ত্যার আগে তার কাছ থেকেই আমি এসব কথা জেনেছি ও শুনেছি।
কিন্তু অত্যন্ত দুঃখ ও পরিতাপের বিষয়, গত দুই বছর আগে আমার বোন নুসরাত জাহান (তানিয়া) ও তার স্বামী মিজানুর রহমানের জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে গুলশানে ১২০ নম্বর সড়কের ১৯ নম্বর বাড়িতে ফ্ল্যাট ভাড়া করে। সেখানে আমার ছোট বোন নুসরাত মুনিয়াকে ওই বাসায় অবস্থানের নি’র্দেশ দেয়। তাদের নি’র্দেশে মুনিয়া সেখানে থাকা শুরু করে। সেই বাসা থেকেই তার লা’শ উ’দ্ধার করা হয়।’
নুসরাতের এক আত্মীয় বলেন, ‘মুনিয়া মা’রা যাওয়ার মাত্র ছয় দিন আগে নুসরাত ও মিজানের বিবাহবার্ষিকী পালন করা হয় কুমিল্লা শহরের কান্দিরপাড় এলাকার জমজম টাওয়ারের গোল্ড স্প্যান রেস্টুরেন্টে। সেখানে অনুষ্ঠানের বিল বাবদ ৯২ হাজার টাকা পরিশো’ধ করে মুনিয়া।’
নুসরাতের বিভিন্ন চ্যাটের স্ক্রিনশর্ট থেকে জানা গেছে, টাকার জন্য নুসরাত ও তার স্বামী মিজান মুনিয়াকে সবসময় চাপে রাখতেন। এমনকি মা’রধ’র করারও ভ’য় দেখাতেন। মুনিয়া বিভিন্ন সময় তার বন্ধুদের স’ঙ্গে বিষয়গুলো শেয়ার করেছেন।
এ বিষয়ে মুনিয়ার ভাই সবুজ বলেন, ‘মুনিয়ার অবাদ চলাফেরা শুরু থেকেই আমি অপছন্দ করতাম। এমনকি মুনিয়ার মৃ’ত্যুর খ’বরও শুরুতে দেওয়া হয়নি। ঘ’টনার দিন সন্ধ্যা ৬টা ৪৯ মিনিটে আমাকে জানানো হয় মুনিয়া মা’রা গেছে। মুনিয়ার বিষয়ে নুসরাত ও তার স্বামী অনেক ত’থ্যই গো’পন করে আমার কাছে।’
সবুজ বলেন, ‘আমাদের পৈতৃক সম্পত্তির সমান ভাগ নিয়ে নুসরাত আমাকেসহ আমার চাচা, চাচি ও কয়েকজনকে আ’সামি করে মা’মলা করে। মা’মলার কারণে স্বাভাবিকভাবেই নুসরাত ও মুনিয়ার স’ঙ্গে আমার দূরত্ব তৈরি হয়। ওই মা’মলা এখনো চলছে। ২০১৫ সালে আমার বাবা মা’রা যাওয়ার পর মুনিয়ার সম্পূর্ণ নিয়’ন্ত্রণ নেয় নুসরাত।’
মুনিয়ার আ’ত্মীয়রা বলছেন, বাবা-মার মৃত্যুর পর এই বোন-ভগ্নিপতিই ছিলেন মুনিয়ার একমাত্র অভিভাবক। টাকার লোভে তারা মুনিয়ার জীবন কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন সেটা একবার জানারও চে’ষ্টা করেননি। বরং ছোট বোনকে যথেচ্ছাচার করার, যেখানে-সেখানে থাকার স্বা’ধীনতা দিয়ে বোন-ভগ্নিপতি হাতিয়ে নিয়েছেন মোটা অঙ্কের অর্থ।
মুনিয়ার বোন নুসরাত বলেন, ‘আমার স’ন্তান না থাকায় আমি মুনিয়াকে আমার নিজের স’ন্তানের মতো মানুষ করেছি। এখন পারিবারিক অভিভাবকত্ব দাবি করে আমার বি’রুদ্ধে অ’পপ্র’চার ছ’ড়ানো হচ্ছে। আমাদের প’রিবারে সম্পত্তি নিয়ে বি’রোধ ও মাম’লা আছে এটা কুমিল্লার সবাই জানে। আমি আমার ভাই ও চাচার বি’রুদ্ধে মা’মলা করেছি। এর মানে এই নয় যে, মা’মলাটি ভিন্ন দিকে নিয়ে যেতে হবে।’
রাজধানীর গুলশানের ফ্ল্যাট থেকে গত ২৬ এপ্রিল ম’রদেহ উ’দ্ধার করা হয় মোসারাত জাহান মুনিয়ার (২১)। এ ঘ’টনায় তার বোন নুসরাত বা’দী হয়ে গুলশান থা’নায় বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরকে আ’সামি করে প্র’রোচনার অ’ভিযোগে মা’মলা করেন।
গত ২ মে মুনিয়ার মৃ’ত্যুকে হ’ত্যা উল্লেখ করে আ’দালতে জাতীয় সংসদের হুইপ ও চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনের সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরীর ছেলে নাজমুল করিম চৌধুরী শারুনকে আ’সামি করে আরেকটি মা’মলা করেন তার ভাই আশিকুর রহমান সবুজ।
তথ্য সূত্রঃ দৈনিক দেশ রূপান্তর।