সোমবার নয়, পহেলা জুলাই থেকে দেশে এক সপ্তাহের দেশে সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। আজ শনিবার (২৬ জুন) রাতে সরকারের উচ্চপর্যায়ের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এর আগে, করোনাভাইরাসের উচ্চসংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আগামী সোমবার থেকে এক সপ্তাহের ‘কঠোর লকডাউনে’ ঘোষণার কথা জানানো হয়। এ সময় জানানো হয়, লকডাউনে সব ধরনের সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। জরুরি পণ্যবাহী ছাড়া সব ধরনের গাড়ি চলাচলও বন্ধ থাকবে। শুধু অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসাসংক্রান্ত কাজে যানবাহন চলাচল করতে পারবে। জরুরি কারণ ছাড়া ঘর থেকে কেউ বের হতে পারবে না।
শুক্রবার রাতে তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুরথ কুমার সরকার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনও সাত দিনের ‘কঠোর লকডাউনের’ তথ্যবিরণীর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধান তথ্য কর্মকর্তার এ সংক্রান্ত বক্তব্য ঠিক আছে। করোনার সংক্রমণ রোধে আমরা সোমবার থেকে সাত দিনের জন্য কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করছি। দরকার হলে লকডাউনের মেয়াদ আরও বাড়বে। এ সময় বিধিনিষেধ কঠোরভাবে পরিপালন করা হবে। বিজিবি ও পুলিশ থাকবে। প্রয়োজনে সেনাবাহিনী মাঠে নামতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কঠোর লকডাউনের সময় জরুরি পণ্যবাহী বাহন ছাড়া সব ধরনের যানবাহনের চলাচল বন্ধ থাকবে। অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসাসংক্রান্ত কাজে ব্যবহৃত যানবাহন শুধু চলাচল করতে পারবে। গণমাধ্যম এ বিধিনিষেধের আওতাবহির্ভূত থাকবে।
এর আগে করোনার বিস্তার রোধে সারা দেশে কমপক্ষে ১৪ দিন সম্পূর্ণ ‘শাটডাউনের’ সুপারিশ করেছে করোনাসংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। গত বৃহস্পতিবার কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লার সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। আগের দিন বুধবার রাতে কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। কমিটির সুপারিশ ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।