আসন্ন ঈদুল আজহায় বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে নিজের প্রিয় গরু দিয়ে দিতে চান তার এক ভক্ত। এর জন্য নির্ধারিত কোনো মূল্য রাখবেন না তিনি। গরুর বিনিময়ে সাকিবের পক্ষ থেকে তাকে সপরিবারে হজে পাঠানোর ব্যবস্থা করলেই তিনি খুশি।
এমন ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন মুন্সিগঞ্জের সিরাজদীখান থানার মালখানগর ইউনিয়নের শফিকুল ইসলাম পলাশ। প্রায় ৪ বছর ধরে গরুটি লালন-পালন করছেন শফিকুল ইসলাম পলাশ। গরুটির জন্ম তারই গোয়ালঘরে। পলাশ তার প্রিয় গরুর নাম রেখেছেন ‘রাজ বিক্রমপুরী’।
বিশালাকার গরুটির ওজন কত জানেন না পলাশ, এতে কত মণ মাংস হবে সে বিষয়েও ধারণা নিতে চান না। কারণ এসব জেনে গরুটির বর্তমান বাজারমূল্য জানার কোনো ইচ্ছা নেই তার। তাই ‘রাজ বিক্রমপুরী’কে কখনও ওজন স্কেলে তোলেননি পলাশ।
জানা গেছে, বেশ কয়েক বছর মালয়েশিয়ায় প্রবাস জীবন কাটানোর পর দেশে ফিরে গরু পালনে মনোযোগী হয়েছেন পলাশ। তার স্বপ্ন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় গরুর মালিক হওয়া। সেই লক্ষ্যেই রাজ বিক্রমপুরীকে পালন করেছেন।
এবার পলাশের স্বপ্ন তার গরুকে সাকিব আল হাসানের হাতে তুলে দিতে। বিনিময়ে সপরিবারে হজে যেতে চান।
এ বিষয়ে পলাশ বলেন, ‘এই গরুর মাকেও লালন করেছি আমি। আমার গোয়ালঘরেই এর জন্ম। চার বছরে একে এতো বড় করেছি। স্বপ্ন ছিল সারা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় গরু হবে আমার এই রাজ। তবে সেটা নিশ্চিত না করা গেলেও মুন্সিগঞ্জ জেলায় রাজ বিক্রমপুরীর চেয়ে বড় গরু আর নেই বলে মনে করি। গরুটিকে আমি সাকিব আল হাসানের হাতে তুলে দিতে চাই।’
শুধু সাকিবকেই কেন গরু দিতে চান প্রশ্নে পলাশের উত্তর, আর সবাইকে রেখে উনাকেই দিতে চাই। উনি আমার জন্য বিশেষ। উনার খেলা আমার পছন্দ। উনাকের দেশের সবাই চেনে।
কি খাইয়ে গরুকে এতো বড় করেছেন প্রশ্নে পলাশ বলেন, ‘প্রতিদিন ২১ কেজি খাবার খায় এটি। তার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় আছে – একটি মিষ্টিকুমড়া, এক কেজি ছোলাবুট, খেসারি ভুসি, গমের ভুসি, কুড়া ও বিপুল পরিমাণে সবুজ ঘাস।’
গরুর নাম রাজ বিক্রমপুরী রাখার কারণ জানতে চাইলে পলাশ বলেন, ‘আমার মেয়ে যখন খুব ছোট তখন এর নাম রাজ রাখে। আমি ওই নামের সঙ্গে বিক্রমপুর এলাকার নাম জুড়ে দিয়েছি। তাই এর নাম – রাজ বিক্রমপুরী।’
এদিকে বিশালাকার গরুটিকে দেখতে আশপাশের গ্রামের মানুষ ছুটে আসছে।
জাহিদ হাসান নামে একজন বলেন, ‘আমি অনেক দূর থেকে এসেছি রাজ বিক্রমপুরীকে দেখতে। শুনেছি ক্রিকেটার সাকিবকে গরুটি উপহার দেওয়া হবে। তাই দেখতে এসেছি। আমি বিস্মিত। এতো বড় গরু আমি এই প্রথম দেখলাম।’
মোহাম্মদ ইয়াসিন সুমন, গরুটিকে দেখার মতো সুন্দর। গ্রামের সবাই এই গরু নিয়ে আলোচনা করছে। তাই কৌতূহল বশত গরুটি দেখতে এসেছি। সিরাজদীখানে এতো বড় গরু আর একটিও নেই বলে ধারণা করছি। ’