মানুষের ১৩০ বছর বা তার চেয়েও বেশি সময় পর্যন্ত বাঁচা সম্ভব। এমনটিই উঠে এসেছে নতুন এক গবেষণায়। গতকাল বুধবার গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে রয়্যাল সোসাইটি ওপেন সায়েন্স জার্নালে।
গবেষকরা এও দেখেছেন, মানুষের আয়ুর কোনও ঊর্ধ্বসীমা নেই আক্ষরিক অর্থে। গবেষণাটি চালিয়েছেন লসনে সুইস ফেডারেল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (ইপিএফএল) বিজ্ঞানীরা।
গবেষকরা স্বীকার করেছেন, পরিবেশদূষণের ফলে আগের চেয়ে মানবজীবনের ঝুঁকি বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু মানুষের আয়ুষ্কালের সত্যি সত্যিই তেমন কোনও পরিবর্তন হয়নি; যদি আমরা জীবনকে মোটামুটি সঠিকভাবে চালিয়ে নিয়ে যেতে পারি চল্লিশের কোঠায় পৌঁছনোর পর থেকেই।
গবেষকরা ১৩টি দেশের ১০৫ ও ১১০ বছরেরও বেশি বয়সী এক হাজারেরও অধিক পুরুষ, নারীসহ নানা বয়সের গত ৬০ বছরের আয়ুষ্কালসংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য খতিয়ে দেখেই এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন বলে জানিয়েছেন।
গবেষণাপত্রে দুটি ঘটনার উল্লেখও করা হয়েছে। প্রথমটি এখন পর্যন্ত মানবেতিহাসে সবচেয়ে বেশি দিন যিনি বেঁচে ছিলেন, সেই ফরাসি নারী জেন কামেন্তঁ। ১৯৯৭ সালে যিনি প্রয়াত হন ১২২ বছর বয়সে।
দ্বিতীয় ঘটনাটির চরিত্র জাপানের কানে তানাকা, যিনি এখন ১১৮ বছর বয়সেও দিব্যি তরতাজাই রয়েছেন।
তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার।