গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে পারিবারিক মামলার বাদী নারীর সঙ্গে ‘অন্তরঙ্গ’ অবস্থায় আটক হয়েছেন তোফাজ্জল হোসেন (৩৭) নামে পুলিশের এক সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই)। শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) মধ্যরাতে উপজেলার ধর্মপুর (ছড়ারপাতা) গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় পুলিশ। তোফাজ্জল হোসেন সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কঞ্চিবাড়ি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে কর্মরত রয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, রাত ১০টার দিকে এএসআই তোফাজ্জল হোসেন ছড়ারপাতা গ্রামের এক সৌদি প্রবাসীর স্ত্রীর বাড়িতে আসেন। এলাকাবাসীর সন্দেহ হলে তারা গোয়ালঘরে খোঁজ নিলে সেখানে ‘আপত্তিকর’ অবস্থায় ওই নারীর সঙ্গে তাকে দেখেন। বিষয়টি জানাজানি হলে উত্তেজিত জনতা তোফাজ্জলকে আটক করে বাড়ির উঠোনের একটি আম গাছের সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে রেখে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক প্রতিবেশী জানান, ওই নারীর স্বামীর সঙ্গে তার ভাসুরের জমি নিয়ে সম্প্রতি বিরোধ দেখা দেয়। পরে ওই নারী বাদী হয়ে সুন্দরগঞ্জ থানায় ভাসুরের বিরুদ্ধে মামলা করেন। সে মামলার তদন্তভার পড়ে এএসআই তোফাজ্জল হোসেনের কাঁধে। তদন্তে গিয়ে ওই নারীর সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলেন তিনি।
তবে মামলার বাদী ওই নারী অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, গোয়ালঘর থেকে নয়, নিজ বাড়ি থেকেই তাকে গ্রামবাসী আটক করে। এটি একটি চক্রান্ত। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহিল জামান বলেন, অভিযুক্ত এএসআই তোফাজ্জল কে গাইবান্ধা পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে।