নিজ ঘরে একই ওড়নায় ঝুলছিল বাবা-মায়ের মরদেহ। তার পাশে বসেই কাঁদছিল ২ সন্তান। এসময় ঝুলন্ত মরদেহের পাশে বসিয়েই শিশু সন্তানদের জিজ্ঞাসা করছিল পুলিশ। এমন ঘটনা ঘটে হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের নরপতি গ্রামের পুকুরভাঙ্গা গ্রামে। ২ সন্তানকে জিজ্ঞাসা করেন- চুনারুঘাট সার্কেল এএসপি মহসিন মুরাদ।
শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তারা হলেন- চুনারুঘাট সদর ইউনিয়নের নরপতি গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে রিকশাচালক আব্দুর রউফ (৩০) ও তার স্ত্রী আলেয়া আক্তার (২৫)।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১২ বছর পূর্বে আব্দুর রউফ ও আলেয়ার বিয়ে হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে রায়হান (১০), ফরহাদ (৪) নামে ২ ছেলেসন্তান রয়েছে। তারা ফসলি জমির মাঝখানে নতুন বাড়ি করে বসবাস করে আসছিল।
রায়হান জানায়, তার বা রিকশাচালক ও তার মা সৌদি আরব প্রবাসী। মাসখানেক পূর্বে তিনি দেশে আসেন। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত একটায় তার বাবা ও মা খাওয়া-দাওয়া করে একরুমে ঘুমিয়ে পড়েন।
রায়হান আরও জানান, আর সে একই ঘরের পাশের রুমে ঘুমে ছিল। সকালে উঠে দেখতে পায় তার মা-বাবা ঘরের ধণ্নার সঙ্গে ওড়না পেছানো গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলছে। পরে পুলিশ এসে জিঞ্জাসা করে বাবা-মায়ের মরদেহ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে চুনারুঘাট থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলী আশরাফ গণমাধ্যমকে জানান, শিশুদের বাবা-মায়ের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা তদন্ত না করে কিছুই বলা যাচ্ছে না। আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি।