ব্রিটিশ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সামনের গরমে ওমিক্রন তরঙ্গ শেষ হয়ে যেতে পারে। লোকজন সামাজিক কার্যক্রম পুনরায় শুরু করতে পারে। তবে করোনা টিকার প্রভাব হ্রাস পাওয়ার শঙ্কার কথাও বলেছেন বিশেষজ্ঞরা।
ব্রিটেনের সায়েন্টিফিক অ্যাডভাইসরি গ্রুপের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনার এটাই শেষ ধাক্কা হতে পারে। তবে সেটা সাধারণ জনগণের আচরণ এবং বর্তমান তরঙ্গের মাত্রার ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল। যদিও নিশ্চিতভাবে কোনো ভবিষ্যদ্বাণী করেননি বিশেষজ্ঞরা।
এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন যদি ১০০০ জনের কম হাসপাতালে ভর্তি হয়, এমনকি এ মাসের শেষ পর্যন্ত ২০০০ এর চেয়ে কম সংখ্যক ভর্তি অব্যাহত থাকে; তারপরেও ধীরে ধীরে সামাজিকীকরণে ফিরে আসা সম্ভব।
এদিকে ওমিক্রন ধরনে আক্রান্তদের উপসর্গ করোনার অন্য ধরনের চেয়ে মৃদু। যারা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে, তাদের মধ্যে কম সংখ্যকের অক্সিজেন লাগছে। এমনকি নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে থাকার সংখ্যাও কম।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আগের তরঙ্গগুলোর চেয়ে এবার হাসপাতালে ভর্তির ঝুঁকি ৩৫ শতাংশ কম। ডেল্টার চেয়ে ওমিক্রনে হাসপাতালে ভর্তির হার ৬৫ শতাংশ কম দেখা যাচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, সামনের মাসে ওমিক্রনে আক্রান্ত শিখরে উঠতে পারে। শুক্রবার ব্রিটেনের নিরাপত্তা সংস্থা জানিয়েছে, আগের সপ্তাহের চেয়ে আক্রান্তের হার কমেছে।
শুক্রবার ব্রিটেনে ৯৯ হাজার ৬৫২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। আগের দিন আক্রান্ত হয়েছিল এক লাখ ৯ হাজার ১৩৩ জন। সে তুলনায় গতকালের সংখ্যাটি কম।
সূত্র: স্কাই নিউজ।