সব বয়সের মানুষের মধ্যেই কমবেশি ব্রণের সমস্য দেখা যায়। বিশেষ করে বয়ঃসন্ধির পর থেকেই ত্বকে ব্রণের সমস্যা দেহা দেয়। বিরক্তিকর এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই বাজার থেকে কিনে নানা রকম প্রসাধনী ব্যবহার করেন। যা উপকারের বদলে ক্ষতিই করে বেশি।
তাছাড়া অনেকের আবার মুখের ব্রণ ভালো হয়ে গেলেও সেটার দাগ থেকে যায়। নানারকম ওষুধ খেয়ে দূর করা যায় না সেই দাগ। তবে ঘরোয়া কিছু উপায়ে দূর করতে পারেন ব্রণের গভীর দাগ। কীভাবে? চলুন জেনে নেয়া যাক সেই উপায়গুলো-
হলুদ
লেবুর রসের সঙ্গেই হলুদ মিশিয়ে নিতে পারেন। তাতে আরও ভালো কাজ হবে। এই মিশ্রণ ব্রণের দাগে লাগিয়ে আধ ঘণ্টা রেখে দিন। তার পরে হাল্কা গরম পানিতে ধুয়ে নিন।
নারকেল তেল
ব্যাকটিরিয়া এবং ছত্রাকজাতীয় সংক্রমণ আটকাতে পারে নারকেল তেল। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে আক্রান্ত ত্বকে নারকেল তেল লাগিয়ে দিন। সকালে সাবান দিয়ে ধুয়ে ক্রিম লাগান। এক মাসেই দাগ কমে যাবে।
অ্যালোভেরা
অনেকের মতেই ব্রণের দাগ কমানোর সবচেয়ে ভালো উপাদান এটি। অ্যালোভেরার পাতার রস সরাসরি ব্রণের দাগের উপর লাগান। সারা রাত রেখে দিন। সকালে ধুয়ে ফেলুন। এক সপ্তাহের মধ্যেই দাগ অনেক কমে যাবে।
লেবুর রস
তাজা লেবুর রস ব্রণের দাগের উপর লাগাতে পারেন। এর ভিটামিন সি ত্বককে দ্রুত সারিয়ে তোলে। ব্রণ আক্রান্ত স্থানে লেবুর রস লাগিয়ে মিনিট ১৫ রেখে দিন। তার পরে হাল্কা গরম পানিতে ধুয়ে নিন। এক সপ্তাহেই দাগ কমতে থাকবে।
মধু
মধুও ব্যাকটিরিয়া এবং ছত্রাকজাতীয় সংক্রমণ আটকাতে পারে। নারকেল তেলের মতোই মধুও রাতে আক্রান্ত ত্বকে লাগান। সকালে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ব্রণের দাগ কমবে। তবে মধু সব ত্বকের সহনীয় নাও হতে পারে। তাই ব্যবহারের আগে ত্বকের ধরণ বুঝে নিন।