পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়নে বিয়ের অনুষ্ঠানে খাবারের সঙ্গে কাঁচামরিচ ও সালাদ না দেওয়াকে কেন্দ্র করে বর ও কনে পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রায় ১৫ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
বুধবার (৫ জুলাই) কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহিন হাওলাদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মঙ্গলবার (৪ জুলাই) বিকেলে ওই ইউনিয়নের কুম্ভখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন- মো. জিসান (১০), মতি হাওলাদার (৭০), সালেহা বেগম (৭০), ফিরোজ হাওলাদার (১৮), মালেক হাওলাদার (৪০), মো. রফিক মিয়া, মো. মিজান, খালেক হাওলাদার ও মো. হাচিব (৯)। বাকিদের পরিচয় জানা যায়নি।
জানা গেছে, কনকদিয়া ইউনিয়নের কুম্ভখালী গ্রামের মো. নিজাম মিয়ার ছেলে মো. মেহেদী হাসানের সঙ্গে একই গ্রামের বকু ফকিরের মেয়ের বিয়ে সম্পন্ন হয়। মঙ্গলবার বিকেলে ছেলে পক্ষ বরযাত্রী নিয়ে কনের বাড়িতে অনুষ্ঠানে যায়। পরে খাবার টেবিলে মাছ, মাংস ও পোলাও দেওয়া হলেও মেন্যুতে কাঁচামরিচ ও সালাদ ছিল না। এ সময় ছেলের পক্ষের লোকজন খাবার টেবিলে সালাদ ও কাঁচামরিচ চান। পরে বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে দু’পক্ষের লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় দুই পক্ষের প্রায় ১৫ জন আহত হন।
খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক দু’জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।
চেয়ারম্যান মো. শাহিন হাওলাদার জানান, মঙ্গলবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
বগা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মো. সোহেল জানান, মঙ্গলবার বিকেলে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। পরে আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিচুল হক রাতে জানান, মঙ্গলবার বিকেলে বিয়ে বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ অভিযোগ নিয়ে আসেননি।